রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার
রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার, আমরা হয়তোবা অনেকেই জানি রমজান মাসে ভালো
কাজের পুরস্কার সম্পর্কে আসলে রমজান মাস এমন একটি মাস এই মাসে যে যত বেশি ভালো
কাজ করবে মহান আল্লাহতালা তার তত পুরষ্কৃত করবে।
আবার অনেকেই ঠিকমতো জানেন না যে রমজানে ভালো কাজ করার জন্য পুরস্কার
সম্পর্কে। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে ঠিক জায়গায় এসেছেন আর আমি আমার এই
আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব আর রমজান মাসে ভালো কাজে
পুরস্কার সম্পর্কে। তাহলে মনোযোগ দিয়ে আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করুক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার
- রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার
- রমজানে কিছু উত্তম কাজ
- রমজান: রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস
- রমজানে নেক আমলের সওয়াব কত গুণ বৃদ্ধি পায়
- রোজার পুরস্কার ও গুনাহ মাফের প্রতিশ্রুতি
- লাইলাতুল কদর: হাজার মাসের চেয়ে উত্তম
- রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও পুরস্কার
- তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
- রমজানে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময়
- আখিরাতের জন্য রমজানকে সর্বোত্তম সুযোগ বানানো
- শেষ কথাঃ রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার
রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার
রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার, রমজান মাস হলো বিশেষ রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস।
এই মাসে যে কেউ নেক আমল করলে তার প্রতিদান বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক সময়ে
একটি ভালো কাজ করলে ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত সওয়াব পাওয়া যায়, কিন্তু রমজানে এটি
আরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানে ফরজ আমলের সওয়াব ৭০
গুণ বৃদ্ধি পায় এবং নফল আমল ফরজের সমান মর্যাদা লাভ করে।
তাই এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত। এই মাসে রোজা রাখা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
ইবাদত। রোজা শুধু ক্ষুধা ও তৃষ্ণা থেকে বিরত থাকার নাম নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি ও
তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে
রোজা রাখে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এছাড়া রমজানের শেষ দশকে
রয়েছে লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
আরো পরুনঃ লাইলাতুল কদর কত তারিখে হবে ২০২৫
এই রাতে ইবাদত করলে ৮৩ বছরের ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। রমজানে দান-সদকা করা
অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ছিলেন সবচেয়ে বেশি দানশীল,
আর রমজান এলে তিনি আরও বেশি দান করতেন। এছাড়া রোজাদারের ইফতার করানো বিশাল
সওয়াবের কাজ। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করায়,
সে রোজাদারের সমান সওয়াব লাভ করে। রমজানে ভালো কাজ করলে আল্লাহর রহমত লাভ হয় এবং
জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই এই পবিত্র মাসে বেশি করে ইবাদত, দোয়া,
কুরআন তিলাওয়াত ও সৎকাজ করা উচিত।
রমজানে কিছু উত্তম কাজ
- রোজা রাখা
- কুরআন তিলাওয়াত করা
- ইফতার করানো
- তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ পড়া
- দান-সদকা করা
- বেশি বেশি দোয়া করা
- গরিব-অসহায়দের সহায়তা করা
রমজান মাসে ভালো কাজ করলে অসংখ্য সওয়াব পাওয়া যায়। এই মাসে ফরজ ইবাদতের সওয়াব
৭০ গুণ বৃদ্ধি পায়, আর নফল আমলের সওয়াব ফরজের সমান হয়। তাই রোজা রাখা, কুরআন
তিলাওয়াত, দান-সদকা ও ইবাদত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রমজান হলো মাগফিরাত ও
জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে রোজা
রাখে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
এছাড়া লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম, এই রাতে ইবাদত করলে ৮৩ বছরের
সওয়াব পাওয়া যায়। দান-সদকা করা রমজানের অন্যতম সেরা আমল। রাসুল (সা.) এই মাসে
সবচেয়ে বেশি দান করতেন। রোজাদারকে ইফতার করানোও অনেক ফজিলতপূর্ণ কাজ। রাসুল
(সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কাউকে ইফতার করায়, সে রোজাদারের সমান সওয়াব লাভ করে।
রমজানে ভালো কাজ করলে আল্লাহর অশেষ রহমত ও বরকত লাভ করা যায়। এই মাসে আমাদের
উচিত বেশি করে ইবাদত করা, গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করা। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি ভালো কাজ করার
তাওফিক দান করুন।
রমজান: রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস
রহমান আখিরাত ও নাজায়েতের মাস বলা হয় এই রমজান মাস রমজান মাস তিন ভাগে ভাগ
করা হয়ে থাকে প্রথম ১০ দিন রহমতের মাস, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের মাস, পর
তৃতীয় ১০ দিন নাজায়েতের মাস, মহান আল্লাহতালা রমজান
মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল করেছিল তাই এই মাসে আমাদের মহান আল্লাহতালা
সবকিছু চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করে দেয়।
আরো পরুনঃ রমজানে ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত
রমজান মাস এই তিন ভাগে ভাগ করার কিছু ইসলামিক আলোকে আপনাদের মাঝে হাজির
সম্পর্কে কিছু তুলে ধরা হলো-
- রমজান মাস রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস।
- প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের, এবং শেষ ১০ দিন নাজাতের সময়।
- এই মাসে আল্লাহর বিশেষ দয়া ও করুণা বর্ষিত হয়।
- রোজা রাখলে আল্লাহ ছোট-বড় গুনাহ মাফ করে দেন।
- লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
- রমজানে নেক আমল করলে সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
- এই মাসে দান-সদকা করলে আল্লাহ বিশেষ পুরস্কার দান করেন।
- রমজান আত্মশুদ্ধি, ইবাদত ও তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ সময়।
রমজানে নেক আমলের সওয়াব কত গুণ বৃদ্ধি পায়
- রমজানে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব বহু গুণ বৃদ্ধি করা হয়।
- ফরজ ইবাদতের সওয়াব সাধারণ সময়ের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি হয়।
- নফল ইবাদতের সওয়াব ফরজের সমান হয়ে যায়।
- রাসুল (সা.) বলেছেন, "আল্লাহ বলেন, রোজা আমার জন্য, আর আমি নিজে এর প্রতিদান দেব।" (বুখারি, মুসলিম)
- লাইলাতুল কদরের এক রাতের ইবাদত ৮৩ বছরের (হাজার মাস) ইবাদতের সমান।
- রমজানে দান-সদকা করলে সওয়াব বহু গুণ বৃদ্ধি পায়।
- ইফতার করালে রোজাদারের সমান সওয়াব লাভ করা যায়।
- এই মাসে বেশি ইবাদত, দোয়া ও দান-সদকা করলে জান্নাতের প্রতিদান নিশ্চিত হয়।
রোজার পুরস্কার ও গুনাহ মাফের প্রতিশ্রুতি
- রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ বিশেষ পুরস্কার প্রদান করেন।
- হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে রোজা রাখে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।" (বুখারি, মুসলিম)
- আল্লাহ বলেন, "রোজা আমার জন্য, আর আমি নিজে এর প্রতিদান দেব।" (বুখারি, মুসলিম)
- রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধির চেয়েও প্রিয়।
- রোজা কিয়ামতের দিন রোজাদারের জন্য সুপারিশ করবে।
- জান্নাতে "রাইয়ান" নামে একটি দরজা আছে, যা শুধু রোজাদারদের জন্য নির্ধারিত।
- রোজা আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।
- এই মাসে বেশি ইবাদত করলে আল্লাহর রহমত লাভ হয় ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
লাইলাতুল কদর: হাজার মাসের চেয়ে উত্তম
- লাইলাতুল কদর হলো পবিত্র রমজানের শেষ দশকের একটি বিশেষ রাত।
- আল্লাহ বলেন, "লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।" (সূরা কদর: ৩)
- এই রাতে ইবাদত করলে ৮৩ বছর ৪ মাসের ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
- কুরআন মজিদ এই মহিমান্বিত রাতে নাজিল হয়েছে।
- ফেরেশতারা বিশেষ রহমত ও বরকত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
- রাসুল (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে লাইলাতুল কদরে ইবাদত করে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।" (বুখারি, মুসলিম)
- এই রাতকে খুঁজতে রমজানের শেষ ১০ রাতের বিজোড় রাতগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত।
- বিশেষ ইবাদতসমূহ: কুরআন তিলাওয়াত, তাহাজ্জুদ, জিকির, দোয়া ও ইস্তিগফার।
- এই রাতে "আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন..." দোয়া বেশি করে পড়তে বলা হয়েছে।
- লাইলাতুল কদর পাওয়া রমজানের শ্রেষ্ঠ নেয়ামত ও জান্নাতের অন্যতম সুসংবাদ।
রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও পুরস্কার
রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অসীম। এই পবিত্র মাসে কুরআন তিলাওয়াতের
মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বরকত অর্জন করা যায়। আল্লাহ কুরআনে বলেন, "এটাই সেই বই,
যার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই; এটা পরহেজগারদের জন্য হেদায়াত।" (সূরা বাকারাহ: ২)।
রমজান মাসে কুরআন তিলাওয়াতের পুরস্কার অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
রাসুল (সা.) বলেছেন, "রমজানে কুরআন তিলাওয়াত করার সওয়াব অন্যান্য মাসের তুলনায়
অনেক বেশি।" (বুখারি, মুসলিম)। এটি কুরআন তিলাওয়াতের অন্যতম ফজিলত, বিশেষত
রমজানের রাতগুলোতে। কুরআন তিলাওয়াত করার মাধ্যমে যে সওয়াব লাভ হয়, তা অনেক গুণ
বেড়ে যায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি রমজানে কুরআন পড়ে, তার জন্য আল্লাহ
এক লাখ নেকি লিখে দেন এবং এক লাখ গুনাহ মাফ করেন।" (ইবনে খুজাইমা)।
আরো পরুনঃ রমজান মাসের বিশেষ রাত লাইলাতুল কদর
এই মাসে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ইবাদত ও আত্মশুদ্ধি অর্জন করা সম্ভব, যা
রোজার সঙ্গেও সম্পর্কিত। এছাড়া, রমজানে কুরআন তিলাওয়াত শুধু সওয়াবের জন্য নয়,
বরং এটি অন্তরের শান্তি, সুখ ও পরিপূর্ণতারও কারণ। কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে
আমরা আল্লাহর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারি এবং আত্মিক প্রশান্তি লাভ করতে পারি।
তাহলে, রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আমাদের আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর রহমত ও
সওয়াব অর্জন করা উচিত।
- রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।
- রাসুল (সা.) বলেছেন, "রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি।" (বুখারি, মুসলিম)
- কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।
- রমজানে এক রাকআত কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব এক লাখ নেকির সমান।
- কুরআন তিলাওয়াত আমাদের অন্তরের শান্তি ও আত্মশুদ্ধি আনে।
- রমজানে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সৎপথে চলার শক্তি পাওয়া যায়।
- কুরআন তিলাওয়াত ইবাদত ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
- এই মাসে বেশি কুরআন পড়া আমাদের গুনাহ মাফ করার এবং সওয়াব বাড়ানোর সুযোগ দেয়।
তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
- রমজানে তারাবিহ নামাজ পড়া রাসুল (সা.)-এর সুন্নত।
- এই নামাজের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়। (বুখারি, মুসলিম)
- তারাবিহ নামাজে প্রতি রাকআতে অসংখ্য সওয়াব রয়েছে।
- রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে তারাবিহ আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করা হবে।" (বুখারি, মুসলিম)
- তারাবিহ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
- এটি হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মশুদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত-
- তাহাজ্জুদ নামাজ হলো সর্বোত্তম নফল ইবাদত। (মুসলিম)
- আল্লাহ রাতে বান্দার দোয়া কবুল করেন। (বুখারি, মুসলিম)
- রাসুল (সা.) বলেছেন, "তাহাজ্জুদ পড়ো, কারণ এটি সৎকর্মীদের অভ্যাস।" (তিরমিজি)
- এই নামাজ গুনাহ মাফের অন্যতম উপায়।
- তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও বরকত লাভ করা যায়।
- এটি আখিরাতের সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রমজানে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময়
- ইফতারের মুহূর্তেঃ রাসুল (সা.) বলেছেন, "রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময় প্রত্যাখ্যান করা হয় না।" (তিরমিজি)
- সাহরির সময়ঃ শেষ রাতের এই মুহূর্তে আল্লাহ বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। (বুখারি, মুসলিম)
- তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের পরঃ রাতে আল্লাহর কাছে বিনম্রভাবে দোয়া করলে তা কবুল হয়।
- লাইলাতুল কদরঃ এই রাতে দোয়া করা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (সূরা কদর: ৩)
- জুমার দিনঃ রমজানের জুমার দিনগুলো দোয়া কবুলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময়।
- সেজদার মধ্যেঃ রাসুল (সা.) বলেছেন, "সেজদারত অবস্থায় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে, তাই বেশি বেশি দোয়া করো।" (মুসলিম)
- রোজার শেষ দশকঃ বিশেষত ২৭তম রাত এবং শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলো দোয়া কবুল হওয়ার সময়।
আখিরাতের জন্য রমজানকে সর্বোত্তম সুযোগ বানানো
- রোজা রাখাঃ রোজা আত্মশুদ্ধির অন্যতম উপায়, যা আখিরাতে জান্নাতের পথে সহায়ক। (বুখারি, মুসলিম)
- কুরআন তিলাওয়াতঃ রমজান হলো কুরআন নাজিলের মাস, তাই বেশি বেশি তিলাওয়াত করা উচিত। (সূরা বাকারা- ১৮৫)
- নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়াঃ ফরজ নামাজের পাশাপাশি তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ পড়া জান্নাতের পথে অগ্রসর করে।
- গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাঃ রমজান আত্মসংযমের মাস, তাই গিবত, মিথ্যা ও অন্যায় কাজ পরিহার করা উচিত।
- দান-সদকাঃ রমজানে দান করলে সওয়াব বহু গুণ বৃদ্ধি পায় এবং আখিরাতে বিনিময় পাওয়া যাবে। (তিরমিজি)
- লাইলাতুল কদরের সন্ধানঃ হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এই রাত ইবাদতের মাধ্যমে আখিরাতের সফলতার বড় সুযোগ।
- তওবা ও ইস্তিগফারঃ আল্লাহ এই মাসে গুনাহ মাফ করেন, তাই বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।
- দোয়া করাঃ রমজানের বিশেষ সময়গুলোতে দোয়া কবুল হয়, যা আখিরাতের মুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শেষ কথাঃ রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার
রমজানে ভালো কাজের পুরস্কার, রমজানের ভালো কাজের পুরস্কার বা ফজিলত
সম্পর্কে আমি আপনাদের মাঝে অনেক কিছু আলোচনা করলাম আপনারা যদি আমার এই পোস্টটি
সম্পূর্ণভাবে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন রমজানের ভালো কাজের ফজিলত
এবং পুরস্কার রমজান মাসে ভালো কাজ করলে মহান আল্লাহতালা নিজের হাতে করে
আমাদেরকে পুরস্কৃত করে থাকেন।
যেমন আমরা আমাদের আশেপাশে গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি বা
যেসব এতিম বাচ্চা ও অসহায় বার্তা আসে তাদের পাশে অবশ্যই আমাদের দাঁড়াতে
হবে তাই রমজান মাসে মহান আল্লাহতালা তাদেরকে এসব ভালো কাজের দিকে আকৃষ্ট হতে
বলেছেন তাই আমরা এসব ভালো কাজের দিকে ঝুঁকে পড়বো এবং মহান আল্লাহ তা'আলা
আমাদের নিজে হাতে করে পুরস্কৃত করবে।
আজ আমি আপনাদের মাঝে অনেক কিছু আলোচনা করলাম যদি আমার এই কথাগুলো আপনি
সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন আর যদি কোথাও
বুঝতে অসুবিধা হয় আমাকে জানাবেন আমি আপনাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।
এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url