লাইলাতুল কদর কত তারিখে হবে ২০২৫
লাইলাতুল কদর কত তারিখে ২০২৫, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা'আলা এ রাতের
সম্পর্কে বলেছে। কিন্তু এই রাত সম্পর্কে অনেকেরই প্রশ্ন থেকে যায়
আসলে লাইলাতুল কদর এর রাত কবে হতে পারে এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন
কিন্তু সঠিকভাবে কেউ বলতে পারে না।
আসলে লাইলাতুল কদরের রাত বেজোর দিনে হয়ে থাকে এটা হয়তোবা আমরা সবাই জানি
কিন্তু ওই দিনটা কবে সেই সম্পর্কে কেউ ভালো করে বলতে পারে না আজ আমি আমার
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কিছু ধারণা দেবো লাইলাতুল কদরের রাত
সম্পর্কে কবে হবে এমন কিছু ধারনা, আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনি ঠিক
জায়গায় এসেছেন আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পুরোপুরি করলে বুঝতে
পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ লাইলাতুল কদর কত তারিখে ২০২৫
লাইলাতুল কদর কত তারিখে ২০২৫
লাইলাতুল কদর কত তারিখে ২০২৫, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন এই
রাতের সম্পর্কে। নিশ্চয়ই আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে। আর তুমি কীভাবে
জানবে, কী সেই লাইলাতুল কদর? লাইলাতুল কদর হলো এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই
রাতে ফেরেশতারা এবং জিবরাইল (আ.) তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে প্রত্যেক বিষয়
নিয়ে অবতরণ করেন।
এই রাত শান্তিময়, যা ফজরের طلوع পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা আল-কদর ৯৭:১-৫)
নিশ্চয়ই আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এই
রাতে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা করা হয়। (সূরা আদ-দুখান
৪৪:৩-৪) লাইলাতুল কদর একটি মহিমান্বিত রাত, যা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে
বিশেষভাবে আলোচনা করেছেন।
এটি রমজান মাসের একটি বিশেষ রাত, যখন মহান আল্লাহ মানুষের জন্য রহমত, বরকত ও
মাগফিরাতের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেন। এই রাত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন যে,
এটি এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। অর্থাৎ, এই রাতে যে ইবাদত করা হয়, তা এক হাজার
মাসের ইবাদতের চেয়েও বেশি সওয়াবের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরো পরুনঃ রমজান মাসে মসজিদে দান করার ফজিলত
আল্লাহ তাআলা কুরআনে আরও উল্লেখ করেছেন যে, এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতরণ
করেন এবং তারা আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী পৃথিবীর বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত
বাস্তবায়ন করেন। বিশেষত, প্রধান ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এই রাতে অবতরণ করেন এবং
মুমিন বান্দাদের জন্য রহমতের বার্তা নিয়ে আসেন। এছাড়াও, সূরা আদ-দুখানে বলা
হয়েছে যে, এটি একটি বরকতময় রাত এবং এই রাতে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অর্থাৎ, বিশ্বজগতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারণ করা হয় এবং মানুষের
ভাগ্য সংক্রান্ত বহু বিষয় এই রাতে আল্লাহর হুকুমে নির্ধারিত হয়। এই রাত
সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন যে, যে ব্যক্তি ঈমান ও আন্তরিকতার সঙ্গে এই রাতে
ইবাদত করবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। তাই, এই রাত আমাদের
জন্য এক অপার সুযোগ,
যেখানে আমরা আমাদের পাপের ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি এবং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের
চেষ্টা করতে পারি। লাইলাতুল কদর এমন এক রাত, যা শান্তি ও রহমতে ভরপুর থাকে। এটি
এমন একটি রাত, যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের বারিধারা প্রবাহিত হয় এবং এই রাত
ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তাই, আমাদের উচিত এই রাতের মর্যাদা অনুধাবন করা এবং
যথাযথভাবে ইবাদতে মশগুল হয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা।
লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট করে কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি, তবে নবী করিম (সা.)
বলেছেন যে, এটি রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে, ২১,
২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাতগুলোর মধ্যে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনেক
হাদিসে ২৭তম রাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তবে আল্লাহর ইচ্ছায় এটি অন্য
বিজোড় রাতেও হতে পারে। তাই, আমাদের উচিত রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই ইবাদতে
মনোনিবেশ করা, যাতে আমরা এই মহিমান্বিত রাতের বরকত লাভ করতে পারি।
লাইলাতুল কদর কি?
- লাইলাতুল কদর হলো রমজান মাসের শেষ দশকের একটি বিশেষ রাত।
- এটি সম্মানিত রাত বা পরিকল্পনার রাত হিসেবে পরিচিত।
- কুরআনে বলা হয়েছে, এই রাত এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।
- ফেরেশতারা এই রাতে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী কাজ করেন।
- কুরআন এই রাতে অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত ও রহমত।
- এই রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ মাফ করেন এবং দোয়া কবুল করেন।
- লাইলাতুল কদরের রাতে যে ইবাদত করা হয়, তা ৮৩ বছর ৪ মাসের ইবাদতের চেয়েও বেশি সওয়াবের।
- মানুষের ভাগ্য এই রাতে নির্ধারিত হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
- ফজরের আগ পর্যন্ত এই রাতটি শান্তিময় থাকে।
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও মর্যাদা
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব মর্যাদা মুসলমানদের কাছে ব্যাপক পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ যা
ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো সম্ভব না কারণ লাইলাতুল কদরের রাত এমন একটি রাত যে
রাতের মহান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআন নাজিল করেছে এই রাতে আমাদের মুসলমানদের
একটি বিশেষ রাত,
আরো পরুনঃ রোজার মাসে দান করার ফজিলত
লাইলাতুল কদরের রাতে মুসলমানদের বিশেষ এক রাত এ রাতে মহান আল্লাহতালার কাছে কোন
কিছু চাইলে মহান আল্লাহতালা সাথে সাথে দিয়ে দেয় এবং মহান আল্লাহতালা যার
বান্দা বান্দির জান্নাত পথে এগিয়ে নিয়ে যায় বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের রাতে
মহান আল্লাহতালা কোরআন নাজিল করার ফলে এই রাতের মর্যাদা ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক
বেশি।
লাইলাতুল কদরের রাতের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পূর্ণ কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল-
- এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম উত্তমঃ- মহান আল্লাহতালা কোরআনে বলেছেন লাইলাতুল কদরের রাত হল হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এই এই রাতে যদি কেউ ইবাদত করেন তাহলে তার হাজার মাসের চেয়েও বেশি সওয়াব পাবে (সূরা আল-কদর ৯৭,৩)।
- ফেরেশতাদের অবতরণঃ- এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয় এবং মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ অনুযায়ী সকল ভালো কাজের সাথে অংশ নেয় এই রাতে জিবরাইল (আ.) সহ অন্যান্য ফেরেশতারা শান্তি ও রহমত নিয়ে আসেন (সূরা আল কদর ৯৭. ৪)।
- পাপ মাপ ও মাগফিরাতঃ- যারা এই রাতে ঈমান ও ইখলাসের সাথে ইবাদত করেন মহান আল্লাহ তা'আলা তাদের সকল গুনাহ মাফ করে দেয় এবং মহান আল্লাহ তা'আলা তাদের উপর খুশি হয়ে তাদেরকে রহমত ও বরকত করে দেয়।
- মানুষের ভাগ্য নির্ধারণঃ- লাইলাতুল কদর হলো সেই রাত যে রাতে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়।
- শান্তির রাতঃ- এই রাতে হলো শান্তির রাত ফজরের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত রহমত এবং বরকত এই রাতে অবহত থাকে (সূরা আল কদর ৯৭. ৫)
- বিশেষ দোয়া ও ইবাদতঃ- এই রাতে বিশেষভাবে দোয়া ও ইবাদত করা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ মাগফিরাত ও লাভের আশায় এই রাতে দোয়া করানবী করিম (সা.) এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং দোয়া করার জন্য উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন।
লাইলাতুল কদর সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য
লাইলাতুল কদর কত তারিখে ২০২৫, লাইলাতুল কদর সম্পর্কে কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা
স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। সূরা আল-কদর-এ (৯৭) আল্লাহ এই রাতের গুরুত্ব ও
মর্যাদা তুলে ধরেছেন।
এখানে কুরআনের কিছু মূল বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
- নিশ্চয়ই আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে। (সূরা আল-কদর ৯৭:১) এই আয়াতে আল্লাহ বলেন যে, লাইলাতুল কদর রাতেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এটি একটি পবিত্র রাত, যা আল্লাহর নিকট অত্যন্ত সম্মানিত।
- আর তুমি কীভাবে জানবে, কী সেই লাইলাতুল কদর? (সূরা আল-কদর ৯৭:2) এই আয়াতে আল্লাহ লাইলাতুল কদরের মহত্ত্ব ও অসাধারণত্ব বর্ণনা করেছেন, যা অন্য কোন রাতের তুলনায় ব্যতিক্রমী এবং শ্রেষ্ঠ।
- লাইলাতুল কদর হলো এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সূরা আল-কদর ৯৭:3) এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, লাইলাতুল কদরের রাত এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম, অর্থাৎ এই এক রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও বেশি সওয়াবের কারণ।
- এই রাতে ফেরেশতারা এবং জিবরাইল (আ.) তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে প্রত্যেক বিষয় নিয়ে অবতরণ করেন। (সূরা আল-কদর ৯৭:4) এই আয়াতে বলা হয়েছে, লাইলাতুল কদর রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং জিবরাইল (আ.) সহ তারা আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী পৃথিবীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অবতীর্ণ হন। এটি একটি শান্তিময় রাত এবং তাদের আগমন এই রাতের বিশেষ মর্যাদার সাক্ষ্য।
- এই রাত শান্তিময়, যা ফজরের طلوع পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা আল-কদর ৯৭:5) এই আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, লাইলাতুল কদর রাতটি শান্তিময়, যার মধ্যে কোনো ধরনের শত্রুতা বা অশান্তি নেই এবং এটি ফজরের আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ থাকে।
লাইলাতুল কদরের আলামত
লাইলাতুল কদরের কিছু আলামত বা নিদর্শন রয়েছে, যা মুসলমানদের জন্য এই রাতটি
সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই আলামতগুলি পুরোপুরি নির্দিষ্টভাবে
প্রকাশিত নয়, কিন্তু কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। নিচে
লাইলাতুল কদরের আলামতগুলি বুলেট পয়েন্টে দেওয়া হলো।
- শান্তিপূর্ণ রাতঃ- লাইলাতুল কদরের রাতে আকাশ এবং পৃথিবী সবকিছু শান্ত এবং নিরব থাকে। কোন ধরনের ঝড়-বৃষ্টি বা অশান্তি থাকবে না। রাতটি শান্তিময় ও প্রশান্তিদায়ক।
- হালকা আলোর প্রতিফলনঃ- এই রাতে আকাশে হালকা আলো থাকে, যা সাধারণ রাতের থেকে আলাদা। এর মধ্যে এমন এক বিশেষ রূমানি পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা সারা রাত ধরে থাকে।
- ফজরের সময় সূর্যের উদিত হওয়াঃ- লাইলাতুল কদরের রাতে সূর্য সাধারণ থেকে একটু ভিন্নভাবে উদিত হয়। এটি খুব হালকা এবং কোন রশ্মি ছড়ায় না। সূর্য উজ্জ্বল হলেও তার তীব্রতা কম থাকে।
- ফেরেশতাদের অবতরণঃ- হাদিসে এসেছে যে, লাইলাতুল কদর রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন। তারা শান্তি এবং রহমত নিয়ে আসেন। তারা এই রাতে আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী কাজ করেন।
- আল্লাহর রহমত ও ক্ষমাঃ- এই রাতে আল্লাহ বান্দাদের প্রতি তাঁর রহমত এবং মাগফিরাত (ক্ষমা) বর্ষণ করেন। যারা সত্যিকার মনোভাব নিয়ে ইবাদত করে, তাদের পাপ মাফ করা হয়।
লাইলাতুল কদরে করণীয় আমল
লাইলাতুল কদর একটি মহিমান্বিত রাত, যেখানে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি
বিশেষ রহমত ও মাগফিরাত (ক্ষমা) বর্ষণ করেন। এই রাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল
রয়েছে, যা করলে আল্লাহর রহমত লাভ করা সম্ভব। এখানে লাইলাতুল কদরে করণীয় কিছু
আমল বুলেট পয়েন্টে দেওয়া হলো-
- নামাজ (সালাত)ঃ- লাইলাতুল কদরে অধিক নামাজ পড়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ) পড়া উচিত। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।
- কুরআন তিলাওয়াতঃ-কুরআন তিলাওয়াত করা লাইলাতুল কদরের রাতে অত্যন্ত বরকতময়। সম্ভব হলে পুরো কুরআন বা কুরআনের যেকোনো অংশ তিলাওয়াত করা উচিত।
- সৎকর্ম ও দান-সদকাঃ- লাইলাতুল কদরের রাতে সৎকর্মে সময় ব্যয় করা এবং গরীব-অভাবী মানুষকে দান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের এটি একটি উপায়।
- তাওবা ও সৎপথের প্রতি ফিরে আসাঃ- এই রাতটি তাওবার জন্য আদর্শ সময়। নিজের সব গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে সৎপথে চলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
- নফল ইবাদতঃ- নামাজ, দোয়া, জিকির, কুরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি অন্য নফল ইবাদতও করা উচিত। এই রাতের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর স্মরণে থাকা উচিত।
- বিশেষ প্রার্থনাঃ- লাইলাতুল কদরের রাতটিতে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা উচিত, যেমন পবিত্র রমজান মাসের জন্য, পরিবার, সমাজ, দেশ এবং বিশ্ব শান্তি ও কল্যাণের জন্য।
শেষ কথাঃ লাইলাতুল কদর কত তারিখে ২০২৫
লাইলাতুল কদর কত তারিখে ২০২৫, লাইলাতুল কদরের রাত এমন একটি রাত এই রাতে
মহান আল্লাহতালা কোরআন নাজিল করেছেন তাই এই রাত্রি মুসলমানদের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত এই রাতে মহান আল্লাহতালার নিকট নামাজ ও ইবাদত করলে মহান
আল্লাহতালা নিজের হাতে করে তার সেই বান্দাকে পুরস্কৃত করে।
তাই আমরা মহান আল্লাহতালা হুকুম অনুযায়ী সব সময় মুসলমান হিসেবে চলবে
এবং শুধু লাইলাতুল কদরের রাত বলেই নয়, রমজান বলেই নয় আমরা সব সময় মহান
আল্লাহতালা ইবাদত করব আল্লাহ তাআলার দেখানো পথে চলবে এবং আল্লাহতালা ইবাদত
করুক। এটাই আমাদের মুসলমানদের মূল কাজ আগামী লাইলাতুল কদর সম্পর্কে।
আপনাদের মাঝে অনেক কিছু তুলে ধরা চেষ্টা করেছি আসলে লাইলাতুল কদর কত তারিখে
এটাই ভাবে বলা সম্ভব না কিন্তু লাইলাতুল কদর যেই তারিখে হবে মহান
আল্লাহতালা তরফ থেকে আমরা বুঝতে পারবো যে এই মহান দিনটা কবে আসবে যাই হোক আমার
কথায় যদি আপনারা কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাকে অবশ্যই কমেন্টস করেন
বলবেন আমি অবশ্যই আপনাদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।
এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url