রমজানে ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত
রমজানে ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত, অনেকেই রমজান মাসে ফরজের পরে দোয়া ইবাদত
সম্পর্কে জানতে চাই কিন্তু সঠিকভাবে তেমন কেউ বলতে পারে না তাই অনেকেই
বিভিন্নভাবে google এ লেখালেখি করে জানতে চাই, আপনি যদি এমন ব্যক্তি
হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন।
আজ আমি আমার এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব রমজানের
ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত সম্পর্কে। তাই আমার এই আর্টিকেলটি আপনি যদি সম্পূর্ণ
মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ রমজানে ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত
রমজানে ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত
রমজানে ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত, করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। এই সময়টি
অত্যন্ত বরকতময়, কারণ ফজরের নামাজ আদায়ের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়টি
ইবাদত-বন্দেগির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, যারা ফজরের নামাজ
আদায়ের পর বসে থেকে আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকে এবং সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত
ইশরাকের নামাজ পড়ে,
তারা অনেক সওয়াব লাভ করে এবং হজ ও ওমরাহর সওয়াব অর্জন করে। এ সময় বেশি বেশি
আল্লাহর জিকির করা উচিত। যেমন— সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ৩৩
বার করে পড়া এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ১০০ বার পাঠ করা।
এগুলো পাঠ করলে অসংখ্য নেকি লাভ হয় এবং গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
এছাড়াও, কুরআন তিলাওয়াত করা ফজরের পর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আল্লাহ
তায়ালা কুরআনে বলেন, "নিশ্চয়ই ফজরের কুরআন তিলাওয়াত প্রত্যক্ষযোগ্য।" (সূরা
আল-ইসরা: ৭৮) অর্থাৎ এই সময়ের তিলাওয়াত ফেরেশতারা সাক্ষী থাকে এবং আল্লাহর কাছে
তা বিশেষভাবে গৃহীত হয়।
ফজরের পর দোয়া করারও অনেক ফজিলত রয়েছে। এ সময় করা দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
থাকে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া হলো-
- রিজিক বৃদ্ধির দোয়াঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিজকান তায়্যিবান, ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালান।
- গুনাহ মাফের দোয়াঃ আস্তাগফিরুল্লাহ আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি।
ফজরের পর বসে থেকে ইশরাকের নামাজ আদায় করা উত্তম। হাদিসে বলা হয়েছে, "যে ব্যক্তি
ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, এরপর বসে আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকে এবং
সূর্য ওঠার পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, সে এক পূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব লাভ
করে।" (তিরমিজি) রমজান হলো বরকতময় মাস, আর এই সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান।
বিশেষ করে ফজরের পর এই সময়টুকু ইবাদত, দোয়া ও কুরআন তিলাওয়াতে ব্যস্ত থাকলে
আল্লাহর অশেষ রহমত লাভ করা যায়।
ফজরের পর করণীয় ইবাদত ও দোয়া
১,আল্লাহর জিকির ও তাসবিহ-
- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার করে পড়া
- আয়াতুল কুরসি পড়া
- ১০০ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু... পড়লে বড় সওয়াব পাওয়া যায়
২,কুরআন তিলাওয়াত-
- ফজরের পর কুরআন তিলাওয়াত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ের তিলাওয়াত সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে:
- নিশ্চয়ই ফজরের কুরআন তিলাওয়াত প্রত্যক্ষযোগ্য।" (সূরা আল-ইসরা: ৭৮)
৩,দোয়া করা-
এই সময় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া
- রিজিক বৃদ্ধির দোয়াঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিজকান তায়্যিবান, ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালান।
- গুনাহ মাফের দোয়াঃ আস্তাগফিরুল্লাহ আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি।
দু'রাকাত ইশরাকের নামাজ
ফজরের পর কিছুক্ষণ বসে আল্লাহর জিকির করার পর ইশরাকের নামাজ পড়া অত্যন্ত
উত্তম এবং অনেক সওয়াবের কাজ। এটি এমন একটি আমল, যা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত
প্রিয় এবং যার মাধ্যমে একজন মুসলিমের জীবনে বরকত আসে। ফজরের পর ইশরাকের
নামাজের গুরুত্ব হাদিসে বিশেষভাবে উল্লেখিত হয়েছে।
আরো পরুনঃ লাইলাতুল কদর কত তারিখে হবে ২০২৫
হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করে এবং তারপর
কিছুক্ষণ বসে আল্লাহর জিকির করে, সে যদি সূর্য ওঠার পর দুই রাকাত নামাজ আদায়
করে, তবে তাকে পূর্ণ হজ ও ওমরাহের সওয়াব প্রদান করা হয়।" (তিরমিজি) ইশরাকের
নামাজ আদায় করার মাধ্যমে একজন মুসলিমের রিজিকে বরকত আসে।
এটি এমন একটি ইবাদত, যা মুসলিমকে তার দিনের জন্য প্রস্তুত করে এবং তাকে
দিনব্যাপী আল্লাহর সাহায্য ও রিজিকের প্রতি আশাবাদী করে তোলে। ইশরাকের নামাজ
আদায়কারী ব্যক্তি আল্লাহর রাহে এক ধরনের স্থিতিশীলতা এবং শান্তি লাভ করে, যার
ফলে তার কর্মে সফলতা আসে এবং জীবনে সুখ, শান্তি ও তৃপ্তি ফিরে আসে।
এছাড়া, ফজরের পর কিছুক্ষণ বসে আল্লাহর জিকির করা এবং পরে ইশরাকের নামাজ পড়া
একজন মুসলিমের জন্য এক ধরনের প্রশান্তি ও শান্তির অনুভূতি নিয়ে আসে। এটি তাকে
আল্লাহর কাছ থেকে রহমত ও বরকত লাভের একটি সুন্দর সুযোগ প্রদান করে। বিশেষ করে
রমজান মাসে এই আমল আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, কারণ এই মাসে ইবাদতের
সওয়াব কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়।
ফজরের পর ইশরাকের নামাজ পড়া শুধু একটি ইবাদত নয়, এটি প্রতিটি মুসলিমের জন্য
একটি মহান সুযোগ, যাতে তার দিনটি বরকতপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং আল্লাহর কাছে তার
অবস্থান শক্তিশালী হয়।
শেষ কথাঃ রমজানে ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত
রমজানে ফজরের পর দোয়া ও ইবাদত, রমজান মাসে ফজরের পরে দোয়া করা ও
ইবাদত করা মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে রমজান মাসে ফজরের পরে
যে দোয়া করা হয় সেই দোয়াটা আমাদের খুব উপকার হয় অন্যান্য মাসের
থেকে রমজান মাসের দোয়া অনেক বেশি কার্যকারী হয়ে থাকে এজন্য ফজরের দোয়া বিশেষ
করে রমজান মাসের বদলে দেওয়া বেশি কার্যকারের হয়।
তাই আজ আমি রমজানের ফজরের পরে দোয়া ও ইবাদত থেকে আপনাদের মাঝে কিছু আলোচনা
করলাম আশা করি আমার এই পোস্টে পড়ে উপকৃত হবেন কারণ নিজেই জানেন না যে রমজানের
ফজরের পরে দোয়া ও ইবাদতের ফজিলত সম্পর্কে তাই আমি আপনাদের মাঝে দোয়া ও
ইবাদত সম্পর্কে কিছু বর্ণনা তুলে ধরলাম আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
আর যদি কেউ কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন আমি
আপনাদের সহযোগিতা জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছি।
এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url