রোজার মাসে দান করার ফজিলত

রোজার মাসে দান করার ফজিলত, রমজান মাসে দান করা মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা রমজান মাসে গরিব-দুঃখীদের মাঝে দান করা মহান আল্লাহতালার কাছে অনেক বড় একটি ফজিলত পাওয়া কারণ রমজান মাস এমন একটি মাস এই মাসে মুসলমানদের কষ্ট দুঃখ ও গুনহা মাফের একটি সুবর্ণ সুযোগ।
রোজার-মাসে-দান-করার-ফজিলত
তাই এই মাসে বাড়ির আশেপাশে প্রতিবেশী যারাই থাকবে গরিব দুঃখী তাদের মাঝে বেশি বেশি করতে হবে বিশেষ করে রোজার মাসে ধানের ফজিলত বেশি হয়ে থাকে মহান আল্লাহতালা এই ধানের মাধ্যমে আমাদের গুনাহ মাফ করে যাই এবং আমরা যতটুকু সম্পদ দান করি তার থেকে দ্বিগুণ আমাদের মহান আল্লাহতালা দেয় সব থেকে বড় বিষয় হলো এই মাসে দানের ফজিলত অনেক বেশি তাই রমজান মাসে আমাদের বেশি বেশি দান করতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রোজার মাসে দান করার ফজিলত

রোজার মাসে দান করার ফজিলত

রোজার মাসে দান করার ফজিলত, রমজান মাসে দান করার ফজিলত অপরিসীম ইসলাম ধর্মে দান করাকে অন্যতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ করে রমজান মাসে আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এই মাসটি বলা হয় রহমতের মাস মাগফিরাতের মাস এবং নাজায়েতের মাস যেখানে প্রতিটি নেট আমলের সওয়াব অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।
রাসূল সাল্লাম বলেছেন রমজান হল একটি নফল ইবাদতের সওয়াব যেখানে ফরজ ইবাদতের সমান আরএটি ফরজ ইবাদতের সমান ১০ গুণ বৃদ্ধি পায় এই কারণে রমজান মাসে দান করা উন্নত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মহান আল্লাহতালা বলেছেন এই মাসে যিনি দান করবে তার দানের সম্পদ অনেক গুণ বেশি বাড়িয়ে দিবে।

রমজান মাসে দান করা শুধু গরিবদের পাশে দাঁড়ানো নয় বরং এটি আত্মশুদ্ধি ও জান্নাতের পথ সুগম করার একটি উপায়। দান-সদকা মানুষের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম হয়। নবীজি (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন দানশীল ব্যক্তি তার দান দ্বারা সৃষ্ট ছায়ার নিচে থাকবে। এ জন্য আমাদের উচিত এই বরকতময় মাসে যতটা সম্ভব দান-সদকা করা, যাতে আমরা আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করতে পারি।
রোজার-মাসে-দান-করার-ফজিলত
বিশেষ সওয়াব: রমজান মাসে এক একটি সৎকর্ম বা দান আল্লাহর কাছে বহুগুণে মূল্যবান। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "যে ব্যক্তি রমজান মাসে একটি ভালো কাজ করবে, তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সওয়াব পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি দান করবে, সে আল্লাহর এক বিশেষ রহমত লাভ করবে।" (সহীহ বুখারি)
যাকাত এবং ফিতরা: রমজান মাসে যাকাত প্রদান এবং ফিতরা দেয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যাকাত মুসলমানদের দায়িত্ব, যা তাদের ধনসম্পত্তির একটি অংশ গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। রমজানে এর সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
  • হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেনঃ "রমজান মাসে যাকাত দেওয়ার সওয়াব অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক গুণ বেশি।" (সহীহ মুসলিম)
  • ইফতারির সওয়াবঃ রমজান মাসে সেহরি এবং ইফতার করানোর বিশেষ ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ "যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সাওয়াব পাবেন, য much সে নিজে রোজা রেখেছে তাও এর অংশ।" (তিরমিজি)
  • আরও বেশি দান করার আগ্রহঃ রমজানে দান করার দ্বারা কেবল অন্যদের উপকার নয়, বরং দাতা নিজের আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করেন। রমজানে দান করলে আল্লাহ তাঁর দানে আরও বরকত রাখেন।
  • হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেনঃ "রমজানে দান করা অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক গুণ সওয়াবের কাজ।" (সহীহ মুসলিম)
  • তাযকির (বিশুদ্ধতা) ও পরিত্রাণঃ রোজার মাধ্যমে দানকারী ব্যক্তির আত্মবিশুদ্ধি ঘটে এবং তার জন্য আল্লাহর ক্ষমা লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়। দানকারী ব্যক্তির অন্তর পরিশুদ্ধ হয় এবং তার ঈমান শক্তিশালী হয়।
  • কোরআনে বলা হয়েছেঃ "তোমরা যে কোনো সৎকর্মই কর, আল্লাহ তা জানেন এবং সে কর্মের প্রতিদান দেবেন।" (সুরা আল-ইনফিতার, 82:6)
  • গরিব ও দুঃস্থদের সাহায্যঃ রমজান মাসে দরিদ্রদের সাহায্য এবং গরিবদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে গরিবদের জন্য দান করলে তাদের ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
  • হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেনঃ "রমজানে দান করা মুমিনের জন্য এক বিশেষ সুযোগ, যা তার পরকালীন জীবনের জন্য উপকারী।" (সহীহ বুখারি)

মুনশি মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ

মাহে রমজান মানুষকে দানশীলতা, উদারতা ও মহাদেব শিক্ষা দেয় কোন প্রকার অবস্থায় না করে রোজার মাসে মানুষের মাঝে দান সদ্গা অভাবগ্রস্ত মানুষের কল্যাণ হয় এবং মানুষের দারিদ্রতার কম হয় এবং উপকৃত হয়। মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন হে নবী তাদেরকে ধন সম্পদ থেকেও নাই যাদের ধনসম্পদ অনেক বেশি ধন সম্পদ থেকে সাতগা দিয়ে নিজেকে নেকির পথে এগিয়ে নিন নিজেকে তাওবার পথে এগিয়ে যান (সূরা তওবা ১০৩)

রমজানে দানের আধিক্য

রমজান মাসে দানের গুরুত্ব অনেক বেশি। এটি একটি বিশেষ মাস, যেখানে মুসলমানরা সিয়াম সাধনা (রোজা) পালন করেন এবং নিজেদের আত্মিক উন্নতি সাধনের পাশাপাশি অন্যদের সাহায্য করতে মনোনিবেশ করেন।রমজানে দানের আধিক্য নীতিগতভাবে ত্যাগ, সহানুভূতি, এবং সেবার অনুভূতি বৃদ্ধির জন্য সহায়ক।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "রমজানে দান করা অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক সওয়াবের কাজ।এই মাসে দান করলে, শুধু অভাবী ও দরিদ্রদের সহায়তা করা হয় না, বরং দানের মাধ্যমে ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। মুসলমানরা সাধারণত রোজার ইফতারির সময় বা পঁচিশে রমজান,
রমজানে-দানের-আধিক্য
লাইলাতুল কদর, যাকাত দেওয়ার সময় বেশি দান করেন রমজানে দানের আধিক্যও আসে আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা থেকে, কারণ এ সময় দান করা আল্লাহর কাছে আরও গ্রহণযোগ্য।

দানের গুরুত্ব রমজান মাসে

রমজান মাসে দান করা বিশেষ সওয়াবের কাজ। রোজার পর ইফতারি খাওয়ার সময় দান করা অত্যন্ত পুণ্য কাজ হিসেবে গণ্য হয়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "রমজান মাসে দান করলে তা অন্যান্য মাসের চেয়ে বেশি সওয়াব আনে।" এটি শুধু অর্থনৈতিক সাহায্য নয়, বরং সমাজের দরিদ্র, অসহায়, প্রতিবন্ধী, এবং এতিমদের প্রতি সহানুভূতির এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই মাসে মুসলমানরা নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মানবতার সেবা করেন।

দানের বিভিন্ন ধরনের উপায়

  • যাকাতঃ- রমজানে দান করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো যাকাত। যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি ইসলামের অর্থনৈতিক ন্যায্যতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ যাকাত দেয়া দরকার, এবং রমজানে এটি দেয়ার গুরুত্ব আরও বেশি।
  • ফিতরাঃ- রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের সময় মুসলমানরা ফিতরা দেন। এটি দরিদ্রদের জন্য বিশেষ খাদ্য সহায়তা, যেন তারা ঈদের আনন্দে অংশগ্রহণ করতে পারে। এটি সাধারণত ইফতার বা ঈদের আগেই প্রদান করা হয়।
  • সদকা ও দানঃ- রমজানে বিভিন্নভাবে সদকা বা দান দেওয়া যায়। অনেকেই ইফতারের সময় অথবা সেহরির পর দরিদ্রদের খাবার দেন, যাতে তারা ভালোভাবে রোজা রাখতে পারে। এছাড়া, অনেকে হতদরিদ্রদের জন্য পোশাক, চিকিৎসা সহায়তা, অথবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসও দান করেন।
  • ইফতার বা সেহরিঃ- অনেক মুসলমান প্রতি দিন সেহরি এবং ইফতারে দরিদ্রদের জন্য খাবার প্রদান করেন। এই ধরনের দান শুধু অন্যদের সহায়তা করে না, বরং দাতা নিজেও প্রচুর সওয়াব অর্জন করেন।

দানকারীর তুলনা

  • ইসলামে দানকারী ব্যক্তিকে অত্যন্ত প্রশংসিত এবং সাওয়াবের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। কোরআন ও হাদিসে দান এবং দানশীলতার গুরুত্ব অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে কোরআন এবং হাদিসে দানকারী ব্যক্তির তুলনা কিভাবে করা হয়েছে তা তুলে ধরা হলো।
  • কোরআনে আল্লাহ বলেন: "যারা নিজেদের ধন-সম্পত্তি আল্লাহর পথে দান করে, তাদের তুলনা সেগুলোর মতো, যারা এক বীজে সাতটি কান্ড উৎপন্ন করে, আর প্রতিটি কান্ডে শতটি শস্য থাকে।" (সুরা আল-বাকারাহ, 2:261)
  • এখানে দানকারী ব্যক্তির তুলনা এমন বীজের সঙ্গে করা হয়েছে, যা একবার সেগুলোকে লাগানোর পর সেগুলি সাতটি কান্ডে পরিণত হয় এবং প্রতিটি কান্ডে শত শত শস্য ফুটে ওঠে। অর্থাৎ, আল্লাহর পথে দান করা প্রত্যেকটি দান থেকে বহু গুণ সওয়াব অর্জন করা যায়।
  • কোরআনে আরও বলা হয়েছে: "তাদের সৎকর্মের ফল হিসেবে তাদের দান আল্লাহ পরিপূর্ণ করে দেবেন, আর তাদের অন্তরকে শুদ্ধ করে দেবেন।" (সুরা আল-লাইল, 92:7)
  • এখানে দানকারী ব্যক্তির অন্তর শুদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা দানের একটি বড় উদ্দেশ্য। দান করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি আরও ভালোবাসা ও বিশ্বাস তৈরি হয়।
  • হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন: "যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে এক মুঠো খেজুর দান করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে জায়গা দেন।" (সহীহ মুসলিম)
  • এই হাদিসে দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট একটি দানও আল্লাহর কাছে এত মূল্যবান, যে তা জান্নাতে স্থান অর্জনের উপায় হতে পারে।
  • হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আরও বলেছেন: "দান করলে তা তোমাদের জন্য সর্বোত্তম উপকারিতার কারণ হবে। দান করা না হলে তোমরা যা কিছু পাবে তা তোমাদের কাজের ফলস্বরূপ হবে।" (সহীহ বুখারি)
  • এখানে দানকারী ব্যক্তির তুলনা করা হয়েছে এমন এক ব্যক্তি হিসেবে, যিনি শুধু নিজে উপকৃত হন না, বরং তার পরিবার ও সম্প্রদায়কেও উপকারিত করে।
  • কোরআনে বলা হয়েছে: "যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে দান করে, তার দান কখনও ক্ষয় হয় না, বরং তা শত গুণ বৃদ্ধি পায়।" (সুরা আল-বাকারাহ, 2:261)
  • এখানে দানকারীকে সেই ব্যক্তির মতো চিত্রিত করা হয়েছে, যার দান কখনো বৃথা যায় না, বরং তা আরও বহু গুণে বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহ তার প্রতিদান দেন।
  • দানশীলতা এবং সহানুভূতি শুধু সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে না, বরং আল্লাহর কাছ থেকেও পুরস্কৃত হয়।

দান হবে গোপনে

রোজার মাসে দান করার ফজিলত, ইসলামে দান বা সদকা করা একটি মহৎ কাজ, কিন্তু আল্লাহ তাআলা চেয়েছেন যে, দান করার ক্ষেত্রে ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও আচরণ সঠিক এবং পরিশুদ্ধ হোক। তাই, ইসলামে দান গোপনে করার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দান গোপনে করার মাধ্যমে দাতা আল্লাহর কাছে বেশি সাওয়াব অর্জন করতে পারেন এবং তাঁর অন্তরেও সততা ও ঈমান বৃদ্ধি পায়।

গোপনে দান করার কিছু ফজিলত মিশে দেওয়া হলঃ-
  • আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ইখলাস: কোরআনে আল্লাহ বলেছেন: "যে ব্যক্তি তার দান গোপনে করবে, তা তার জন্য আল্লাহর কাছে অধিক শ্রদ্ধেয় এবং তাকে সাওয়াব দেওয়া হবে।" (সুরা আল-বাকারাহ, 2:273)
  • এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, গোপনে দান করা আল্লাহর কাছে অধিক শ্রদ্ধেয়। এর মাধ্যমে দাতা তাঁর দানকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করে, এবং এতে তাঁর ইখলাস (বিশুদ্ধতা) প্রমাণিত হয়।
  • রিয়াকরি বা শো অফ থেকে দূরে থাকা: রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "তিনটি বিষয় এমন, যার মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাজ করবে, আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন: একটি হল, দান গোপনে করা..." (সহীহ মুসলিম)
  • ইসলামে রিয়াকরি (শো অফ) বা দান প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ। গোপনে দান করলে দাতা শো অফ থেকে বেঁচে থাকে এবং শুধুমাত্র আল্লাহর رضا (সন্তুষ্টি) লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে।
  • গোপনে দান করলে পরকালীন পুরস্কার: রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "আল্লাহর পথে গোপনে দান করা এমন একটি কাজ, যা দানকারীর জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার আনে।" (সহীহ বুখারি)
  • এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা গোপনে দান করা ব্যক্তির জন্য অনেক বড় পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা পরকালীন জীবনে তার জন্য অনেক উপকারে আসবে।
  • গোপনে দান করার এক প্রকার আত্মবিশুদ্ধি: কোরআনে আল্লাহ বলেন: "তোমরা যে দান করবে, তা গোপনে করতে পারো, অথবা প্রকাশ্যে, তা আল্লাহ তোমাদের জন্য সহায়ক করবে।" (সুরা আল-ইসলা, 17:27)
  • গোপনে দান করলে এটি দাতা ব্যক্তির আত্মবিশুদ্ধি ও ঈমানের দৃঢ়তা নিশ্চিত করে। এতে দাতা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের গভীরতা এবং তাঁর পথের প্রতি অনুগত থাকে।
  • মহান পুরস্কার ও পরিত্রাণ: হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: "যারা গোপনে দান করে, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে একটি বিশেষ স্থান প্রস্তুত করেছেন।" (সহীহ মুসলিম)
  • গোপনে দান করা এমন একটি কাজ, যা ব্যক্তিকে পরকালীন জীবনে জান্নাতে স্থান লাভের সান্নিধ্য দেয়।

শেষ কথাঃ রোজার মাসে দান করার ফজিলত

রোজার মাসে দান করার ফজিলত, রোজার মাসে ধানের ফজিলত অনেক বেশি বিশেষ করে রোজার মাসে মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে যত দান করার তৌফিক দেবে ততই আমাদের জন্য ভালো যেমন আমরা যদি আমাদের বাড়ির পাশে পরিবার সহায় ব্যক্তি পায় তাহলে তাকে অবশ্যই আমরা দান করব যাতে আল্লাহ আমাদের আরো সম্পদের হার বৃদ্ধি করে দেবে।
রোজার মাসে মুসলিমদের ভিতরে মানবতার কাজ করে রোজা আসলেই প্রত্যেকটা মুসলিমের ভিতরটা অনেক নরম হয়ে যায় এতে আমাদের পক্ষে অনেক ভালো বিশেষ করে রোজার মাসে আমাদের মহান আল্লাহতালার নিকট বেশি বেশি নামাজ পড়তে হবে কোরআন পড়তে হবে এবং সাধ্যমতন গরীব দুঃখীদের মাঝে দান করতে হবে যে আমাদের সকল কষ্ট দক্ষ কম হবে।

শুধু দান করলেই দুঃখ কষ্ট কমে না বরং মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে জান্নাতের দরজা খুলে দেবে। জান্নাতের দরজা আমাদের জন্য মহান আল্লাহতালা খুলে দেবে এই জন্য রোজার মাসে আমরা দাণ বেশি বেশি করব ও নামাজ কালাম কোরআন বেশি বেশি করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url