কক্সবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় সূচি ২০২৫
কক্সবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় সূচি ২০২৫, রমজান মাস মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত বরকতময় ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। এটি এমন
একটি মাস, যেখানে আত্মশুদ্ধি, সংযম, ধৈর্য এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ
রয়েছে। এই মাসে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাত লাভের এক বিশেষ ব্যবস্থা
রয়েছে।
রমজান শুধু উপবাস থাকার নাম নয়; এটি অন্তরের পবিত্রতা অর্জনের মাস, গুনাহ থেকে
মুক্তির মাস, ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করার মাস। প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি
মুহূর্ত মুমিনদের জন্য অমূল্য রত্নস্বরূপ, যেখানে প্রতিটি আমলের বিনিময়ে
অনেকগুণ বেশি সওয়াব লাভ করা যায়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কক্সবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় সূচি ২০২৫
কক্সবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় সূচি ২০২৫
কক্সবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় সূচি ২০২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার অপরিবর্তি এলাকার পবিত্র মাহে রমজানের
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী রোজা রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অনুযায়ী সময়সূচী দেখে রোজা রাখা উচিত এবং আমাদের ইফতারি খাওয়ার ক্ষেত্রেও
একই ভূমিকা পালন করে।
তাই আজ আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তাই আজ আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নিয়ে আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ক্যালেন্ডারটি তুলে ধরা হলো।
রোজার শিক্ষা ও গুরুত্ব
- আত্মশুদ্ধিঃ রোজা আমাদের আত্মাকে পবিত্র করে এবং ইবাদতের প্রতি মনোযোগী করে।
- সংযম ও ধৈর্যঃ এটি আমাদের কষ্ট সহ্য করার শক্তি দেয় এবং ধৈর্যশীল হতে শেখায়।
- গরিব-দুঃখীদের অনুভূতিঃ ক্ষুধার্ত থাকার মাধ্যমে আমরা দরিদ্রদের কষ্ট বুঝতে পারি এবং দান-সদকা করতে উদ্বুদ্ধ হই।
- শরীরের শুদ্ধিঃ রোজার মাধ্যমে শরীরের অপ্রয়োজনীয় টক্সিন বেরিয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
রহমতের ১০ দিন
রমজান | তারিখ | বার | সেহরি |
ইফতার |
---|---|---|---|---|
১-রমজান | ২-মার্চ | রবিবার | ০৪-৫৬ | ০৫-৫৬ |
২-রমজান | ৩-মার্চ | সোমবার | ০৪-৫৬ | ০৫-৫৭ |
২-রমজান | ৪-মার্চ | মঙ্গলবার | ০৪-৫৫ | ০৫-৫৭ |
৪-রমজান | ৫-মার্চ | বুধবার | ০৪-৫৪ | ০৫-৫৮ |
৫-রমজান | ৬-মার্চ | বৃহস্পতিবার | ০৪-৫৩ | ০৫-৫৮ |
৬-রমজান | ৭-মার্চ | শুক্রবার | ০৪-৫২ | ০৫-৫৮ |
৭-রমজান | ৮-মার্চ | শনিবার | ০৪-৫২ | ০৫-৫৯ |
৮-রমজান | ৯-মার্চ | রবিবার | ০৪-৫১ | ০৫-৫৯ |
৯-রমজান | ১০-মার্চ | সোমবার | ০৪-৫০ | ০৬-০০ |
১০-রমজান | ১১-মার্চ | মঙ্গলবার | ০৪-৪৯ | ০৬-০০ |
মাগফেরাতে ১০ দিন
রমজান | তারিখ | বার | সেহরি | ইফতার |
---|---|---|---|---|
১১-রমজান | ১২-মার্চ | বুধবার | ০৪-৪৮ | ০৬-০০ |
১২-রমজান | ১৩-মার্চ | বৃহস্পতিবার | ০৪-৪৭ | ০৬-০১ |
১৩-রমজান | ১৪-মার্চ | শুক্রবার | ০৪-৪৬ | ০৬-০১ |
১৪-রমজান | ১৫-মার্চ | শনিবার | ০৪-৪৫ | ০৬-০১ |
১৫-রমজান | ১৬-মার্চ | রবিবার | ০৪-৪৩ | ০৬-০২ |
১৬-রমজান | ১৭-মার্চ | সোমবার | ০৪-৪২ | ০৬-০২ |
১৭-রমজান | ১৮-মার্চ | মঙ্গলবার | ০৪-৪১ | ০৬-০২ |
১৮-রমজান | ১৯-মার্চ | বুধবার | ০৪-৪০ | ০৬-০৩ |
১৯-রমজান | ২০-মার্চ | বৃহস্পতিবার | ০৪-৩৯ | ০৬-০৩ |
২০-রমজান | ২১-মার্চ | শুক্রবার | ০৪-৩৮ | ০৬-০৩ |
নাজাতের ১০ দিন
রমজান | তারিখ | বার | সেহরি | ইফতার |
---|---|---|---|---|
২১-রমজান | ২২-মার্চ | শনিবার | ০৪-৩৭ | ০৬-০৪ |
২২-রমজান | ২৩-মার্চ | রবিবার | ০৪-৩৬ | ০৬-০৪ |
২৩-রমজান | ২৪-মার্চ | সোমবার | ০৪-৩৫ | ০৬-০৪ |
২৪-রমজান | ২৫-মার্চ | মঙ্গলবার | ০৪-৩৪ | ০৬-০৫ |
২৫-রমজান | ২৬-মার্চ | বুধবার | ০৪-৩৩ | ০৬-০৫ |
৬৬-রমজান | ২৭-মার্চ | বৃহস্পতিবার | ০৪-৩২ | ০৬-০৫ |
২৭-রমজান | ২৮-মার্চ | শুক্রবার | ০৪-৩১ | ০৫-০৬ |
২৮-রমজান | ২৯-মার্চ | শনিবার | ০৪-৩১ |
০৫-০৬ |
২৯-রমজান | ৩০-মার্চ | রবিবার | ০৪-৩০ |
০৬-০৬ |
৩০-রমজান | ৩১-মার্চ | সোমবার | ০৪-২৮ | ০৬-০৭ |
রমজানের শিক্ষা ও তাৎপর্য
- রমজানের শিক্ষাগুলো আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।
- আত্মশুদ্ধি: রোজা আমাদের আত্মাকে পবিত্র করে, অন্তরের কালিমা দূর করে এবং আমাদের খাঁটি মুমিন বানাতে সাহায্য করে।
- সংযম ও ধৈর্য: এটি আমাদের কষ্ট সহ্য করার শক্তি দেয় এবং ধৈর্যশীল হতে শেখায়। রোজা মানুষকে লোভ-লালসা থেকে দূরে রাখে এবং সংযমী হতে উদ্বুদ্ধ করে।
- গরিব-দুঃখীদের অনুভূতি: ক্ষুধার্ত থাকার মাধ্যমে আমরা দরিদ্রদের কষ্ট বুঝতে পারি, ফলে আমাদের মধ্যে দান-সদকা করার মনোভাব তৈরি হয়।
- শরীর ও মনের শুদ্ধি: রোজার মাধ্যমে শরীরের অপ্রয়োজনীয় টক্সিন বেরিয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি, রোজা মনের প্রশান্তি এনে দেয় এবং মনোবল দৃঢ় করে।
সেহরি নিয়ম
উচ্চারণঃ-
নাওয়াইতু আন আসূমা গাদান লিল্লাহি তা'আলা মিন সওমি রমাদান।
অর্থঃ-
"আমি আগামীকাল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রমজানের রোজা রাখার নিয়ত করলাম।"
সেহরির সময়: সুবহে সাদিকের আগে খাবার শেষ করতে হয়।
সেহরির গুরুত্বঃ-
নবী (সাঃ) বলেছেন— সেহরি খাও, কেননা এতে বরকত রয়েছে।" (সহিহ বুখারি: ১৯২৩,
সহিহ মুসলিম: ১০৯৫) আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন
ইফতারের দোয়া
উচ্চারণঃ-
আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া বিকা আমান্তু, ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু, ওয়া
আলা রিজকিকা আফতারতু।
অর্থঃ-
হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি, তোমার ওপর ঈমান এনেছি, তোমার ওপর
ভরসা করেছি
এবং তোমার দেওয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করছি।
শেষ কথাঃ কক্সবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় সূচি ২০২৫
কক্সবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় সূচি ২০২৫, রোজার মাসে আমাদের জন্য বিশেষ একটা মাস এই মাসে আমাদের মুসলিম দের জন্য
একটা ফজিলতের মাস এই মাসে আল্লাহ আমাদের সব দুঃখ কষ্ট দূর করে দেয়। এই
মাসের জন্য মুসলিম ১ টা বছর আসার থাকে থাকে তাই এই মাস টা মসলমান দেন জন্য
খুব গুরুত্বপূর্ণ মাস।
আজ আমি আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ইনলামিক ফাউন্ডেশন এর
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার অপরিবর্তি এলাকার পবিত্র মাহে রমজানের
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী আপনাদের মাঝে তুলা ধরলাম। আসা করি উপকার পাবেন
প্রিয় কক্সবাজার জেলা বাসিকে জানায় মাহে রমজানের শুভেচ্ছা ও
অভিনন্দন।
এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url