কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত, ইসলামে দান
করার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। কোরআন ও হাদিসের দানের মাধ্যম
আত্মশুদ্ধি সম্পদের বরকত ও গুনহা মাপের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছে আল্লাহতালা বলেছেন যারা আল্লাহর পথে দান করবে তাদের সম্পদ কমে
না আরো ৭০০ গুণ বৃদ্ধি পায়। (সূরা বাকারা ২: ২৬১)।
রাসূল বলেছেন দান করলে সম্পদ কমে না বৃদ্ধি পায় (মুসলিম ২৫,৮৮) দান গোপনে
পড়াকে সর্বোত্তম বলা হয়েছে যারা কিয়ামতের দিন আরশের
ছায়ায় আশ্রয়ের কারণ হবে। (বুখারী ২৪,২৩) দানের মাধ্যমে হৃদয় পরিষ্কার
হয় এবং দুঃখ কষ্ট দূর হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত, দানের বিষয়ে মহান রাব্বুল আলামিন বলেছেন
যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজের অর্থ সম্পদ ব্যয় করবে তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত,
যাথেকে ৭ শিষে জন্মায়। যেখানে এক এক করে জমা থাকে। যারা অতি গোপনে দান করে
তারা সৌভাগ্য হয়। বিশেষ করে কোরআন হাদিসের আলোকে গোপনে দান করার ফজিলত অনেক
বেশি।
ইসলামে দান করার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। কোরআন ও হাদিসে দানকে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আত্মশুদ্ধি, সম্পদের বরকত এবং
পরকালীন মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, যারা আল্লাহর পথে
নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত একটি শস্যবীজের মতো।
যা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয় এবং প্রত্যেক শীষে একশত করে দানা থাকে। আল্লাহ যাকে
ইচ্ছা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন।" (সুরা আল-বাকারা, ২:২৬১) আল্লাহ আরও বলেন, "যদি
তোমরা প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো। আর যদি গোপনে দরিদ্রদের দান করো, তবে তা
তোমাদের জন্য আরও উত্তম এবং তা তোমাদের পাপ মোচন করবে।
(সুরা আল-বাকারা, ২৭১) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "দান করলে সম্পদ কমে না। বরং
আল্লাহ তাতে বরকত দান করেন এবং দানকারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।" (মুসলিম, হাদিস:
২৫৮৮) তিনি আরও বলেছেন, "সাত শ্রেণির মানুষ কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়ায়
স্থান পাবে। তাদের মধ্যে একজন হল—যে ব্যক্তি এমনভাবে দান করে যে।
তার ডান হাত যা দান করে, বাম হাতও তা জানতে পারে না। (বুখারি, হাদিস: ১৪২৩) রাসুল
(সা.) আরও বলেছেন, নিশ্চয়ই মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়,
তবে তিনটি জিনিসের সওয়াব চলমান থাকে—সদকায়ে জারিয়া, উপকারী জ্ঞান, এবং নেককার
সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।" (মুসলিম, হাদিস: ১৬৩১)
দান করার উপকারিতাঃ-
- গুনাহ মোচন হয়
- সম্পদ বৃদ্ধি পায়
- কিয়ামতের দিন ছায়া হিসেবে কাজ করবে
- অন্তর বিশুদ্ধ হয়
- দুঃখ-কষ্ট দূর হয়
- দানকারীর মর্যাদা বৃদ্ধি পায়
দান শুধু দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যম নয়, এটি ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভের গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি দান করার
তাওফিক দান করুন। আমিন।
মসজিদে দান করার ফজিল
মসজিদে দান করার ফজিলত ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কোরআন ও হাদিসে মসজিদে দান
করার ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, সমাজের
কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন,
"যারা আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত একটি শস্যবীজের
মতো, যা থেকে।
সাতটি শীষ উৎপন্ন হয় এবং প্রত্যেক শীষে একশত করে দানা থাকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা
বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন।" (সুরা আল-বাকারা, ২:২৬১) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"দান করলে সম্পদ কমে না, বরং বরকত দান করেন আল্লাহ।" (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮) রাসুল
(সা.) আরও বলেছেন, "তোমরা মসজিদে দান করো, তা তোমাদের জন্য সওয়াব বয়ে আনবে।
(বুখারি ও মুসলিম) রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণে বা তার
রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন বিশেষ সওয়াব প্রদান করবেন।"
(ইবনে মাজাহ) মসজিদে দান করার উপকারিতা হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়,
কিয়ামতের দিন ছায়ার আশ্রয় পাওয়া যাবে, মসজিদের উন্নয়ন হবে, সম্পদে বরকত আসে এবং
দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।
মসজিদে দান করা শুধু গরিবদের সাহায্য নয়, এটি একটি মহান ইবাদত এবং সমাজের শান্তি
ও উন্নতির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মসজিদে দান করার
তাওফিক দান করুন। আমিন।
- সুরা আল-বাকারা (২:২৬১) যারা আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত একটি শস্যবীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয় এবং প্রত্যেক শীষে একশত করে দানা থাকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন।
- সুরা আল-বাকারা (২: ২৭১) যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো; আর যদি তোমরা গোপনে দরিদ্রদের দান করো, তবে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম এবং তা তোমাদের পাপ মোচন করবে।
- সুরা আল-ইমরান (৩: ৯৩) তোমরা আল্লাহর পথে দান করো, তাতে তোমাদের জন্য আরও অনেক ভালো।
- সুরা আত-তাওবা (৯: ১০১) আল্লাহ তাদের ধন-সম্পদ বাড়িয়ে দেবেন। যারা আল্লাহর পথে দান করে, তাদের জন্য পরকালীন পুরস্কার রয়েছে, যা পৃথিবীর কোন পুরস্কারের তুলনায় অনেক বড়।
- সুরা আল-মুমিনুন (২৩: ৪) যারা তাদের নামাজে খুশি থাকে এবং যারা নিজেদের মাল-দ্বার থেকে দান করে।
- সুরা আল-হাদীদ (৫৭: ১৮) যারা আল্লাহর পথে দান করে, তাদের জন্য পুরস্কার রয়েছে, যা তারা আশা করে না।
আল্লাহর রাস্তায় দান করার ফজিলত
আল্লাহর রাস্তায় দান করার ফজিলত ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোরআন ও হাদিসে
আল্লাহর রাস্তায় দান করার বিশেষ গুরুত্ব এবং সওয়াব বর্ণনা করা হয়েছে। এটি মানুষের
আত্মশুদ্ধি, সমাজের কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, "যারা আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের
দৃষ্টান্ত একটি শস্যবীজের মতো, যা থেকে।
সাতটি শীষ উৎপন্ন হয় এবং প্রত্যেক শীষে একশত করে দানা থাকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা,
বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন।" (সুরা আল-বাকারা, ২:২৬১)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"তোমরা আল্লাহর পথে দান করো, তা তোমাদের জন্য সওয়াব বয়ে আনবে।" (বুখারি ও
মুসলিম)। দানের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা দাতার জীবনে বরকত দেন এবং তার পাপ মুছে দেন।
আল্লাহর রাস্তায় দান করা শুধুমাত্র গরিবদের সাহায্য নয়, বরং এটি একটি মহান ইবাদত,
যা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পরকালীন পুরস্কারের দিকে পরিচালিত করে। দান করার
মাধ্যমে একদিকে পরকালীন মুক্তি, অন্যদিকে দুনিয়াতে শান্তি ও সুখ আসে।
- (সুরা আল-বাকারা, ২:২৬১)
- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:তোমরা আল্লাহর পথে দান করো, তা তোমাদের জন্য সওয়াব বয়ে আনবে।"
- (বুখারি ও মুসলিম)
- রাসুল (সা.) আরও বলেছেন:দান করলে সম্পদ কমে না, বরং বরকত দান করেন আল্লাহ।"
- (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮)
- এছাড়া, আল্লাহর পথে দান করার মাধ্যমে পাপ মোচন হয় এবং আল্লাহ তাআলা দানের মাধ্যমে দাতার জীবনে বরকত এনে দেন। এটি পরকালীন পুরস্কারের দিকে পৌঁছানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
- আল্লাহর রাস্তায় দান করা সমাজের উন্নতি, গরিবদের সাহায্য এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি মহান উপায়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি দান করার তাওফিক দান করুন। আমিন
দানের ফজিলত ঘটনা
ইসলামে দানের ফজিলত এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কিত অনেক ঘটনা রয়েছে, যা আমাদের দান
করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে ধরা হলো।
- আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) এর ঘটনা:আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) একদিন আল্লাহর রাস্তায় দান করার উদ্দেশ্যে কিছু মূল্যবান বস্তু নিয়ে বের হন। তিনি তার প্রিয় ঘোড়া এবং একটি দামি পোশাক আল্লাহর রাস্তায় দান করতে যাচ্ছিলেন। তার ছেলে তাকে দেখে প্রশ্ন করেন, "এটি তো আপনার প্রিয় বস্তু, কেন আপনি এটি দান করছেন?" আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বললেন, "আমরা জানি, আল্লাহর রাস্তায় দান করলে এটি আমাদের জন্য বড় পুরস্কার বয়ে আনবে এবং আল্লাহ তা গ্রহণ করবেন।" এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, দান শুধু দারিদ্র্য দূরীকরণ নয়, বরং এটি আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং তার সন্তুষ্টি অর্জনের একটি মাধ্যম।
- ওয়াহিশী (রাঃ) এর ঘটনা:ওয়াহিশী (রাঃ) একসময় ইসলামের পূর্বে মক্কায় ছিলেন এবং তিনি অনেক মানুষ হত্যা করতেন। কিন্তু ইসলামের দাওয়াতে তিনি ইসলামে প্রবেশ করেন এবং তার জীবন পরিবর্তন হয়। একদিন তিনি আল্লাহর রাস্তায় কিছু টাকা দান করতে এসেছিলেন। তিনি বললেন, "এটি ছিল আমার সবচেয়ে কঠিন সময়, যখন আমি অপরাধ করতাম, কিন্তু ইসলামের পথ আমাকে দান করার শিক্ষা দিয়েছে এবং আমি জানি, আল্লাহ আমার দান গ্রহণ করবেন।" এই ঘটনা দান করার পবিত্রতা এবং একজন মুসলিমের জীবনে ইসলামের প্রভাবের পরিচয় দেয়।
- রাসুলুল্লাহ (সা.) এর দান:রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে দান-প্রিয় ছিলেন এবং তিনি অনেকবার দানে অংশ নিতেন। একবার তিনি একটি ঘর ভরা তাজা খেজুর এবং খাদ্য দিয়ে পুরো পরিবারকে দান করেছিলেন এবং নিজের জন্য কিছু রাখেননি। সাহাবীরা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, "হে আল্লাহর রাসূল! আপনি নিজের জন্য কিছু রাখছেন না?" তিনি উত্তরে বলেছিলেন, "আমরা আল্লাহর রাস্তায় দান করলে, আল্লাহ আমাদের সবকিছু ফিরিয়ে দেন। তিনি আমাদের জন্য অনেক বড় পুরস্কার দিবেন।" এটি প্রমাণ করে যে, দান করা শুধু গরিবদের সাহায্য নয়, বরং এটি এক মহান ইবাদত এবং পরকালীন পুরস্কারের দিকে পরিচালিত করে।
দানের ফজিলত হাদিস
কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত, ইসলামে দানের ফজিলত নিয়ে অনেক হাদিস
রয়েছে, যা দান করার গুরুত্ব এবং এর সওয়াবের ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান
করেছে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিস তুলে ধরা হলো।
- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেনযে ব্যক্তি আল্লাহর পথে এক দিন দান করে, আল্লাহ তাকে সেই দিন এবং রাতের মধ্যে সব ধরনের বিপদ থেকে নিরাপদ করেন এবং তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেন। (বুখারি, হাদিস: ১৪১৪)
- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমরা আল্লাহর পথে দান করো, কারণ দানের ফলে তোমাদের সম্পদ কখনও কমে না। বরং আল্লাহ তার বান্দার সম্পদে বরকত দেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮)
- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা তিনটি পুরস্কার প্রস্তুত করেছেন: একটি ধন, একটি সময় এবং একটি সাওয়াব। (মুসলিম, হাদিস: ১০০০)
- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি দান করে, সে তার দানে দিয়ে না থাকলে, তার পরেও আল্লাহ তাকে আরও বেশি দানে পূর্ণ করেন এবং তার পাপ মাফ করে দেন।
- (বুখারি, হাদিস: ১৩৫০)
- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন সাদাকা দেওয়া প্রত্যেক মুসলিমের জন্য একটি পুণ্য কাজ। (বুখারি ও মুসলিম)
- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি কোনো গরিবকে কিছু দান করে, আল্লাহ তাকে তার সওয়াব পূর্ণভাবে ফিরিয়ে দেন। (বুখারি)
শেষ কথাঃ কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত, কোরআন ও হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত অত্যন্ত
গুরুত্বপুর্ণ এবং প্রশংসিত। ইসলামে দান করা একটি মহান ইবাদত, যা শুধু গরিবদের
সাহায্য করাই নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি, সমাজের কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তির পথ।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "যারা তাদের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।
তাদের জন্য আল্লাহ বহু গুণে প্রতিদান প্রদান করেন।" (সুরা আল-বাকারা, ২:২৬১)।
এছাড়া, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমরা আল্লাহর পথে দান করো, কারণ দানের ফলে
তোমাদের সম্পদ কখনও কমে না। বরং আল্লাহ তা আরো বৃদ্ধি করে দেন।" (মুসলিম)। দানের
মাধ্যমে মানুষের পাপ মাফ হয়, আত্মা শুদ্ধ হয় এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
দান করা ঈমানের প্রমাণ, যা পরকালীন পুরস্কারের দিকে পরিচালিত করে। ইসলামে দান করা
কেবল একটি মানবিক কাজ নয়, বরং এটি আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় একটি ইবাদত, যা একজন
মুসলিমকে তার পরকালীন মুক্তির পথে এগিয়ে নেয়।
আজ আমার এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে কোরআন ও হাদিসের আলো
সম্পর্কে ধানের ফজিলত সম্পর্কে অনেক কথা আপনাদের সাথে বিস্তারে আলোচনা করলাম আমার
কথা ভেবে কোন কিছু ভুল করে থাকে এবং কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় অবশ্যই আমাকে
জানাবেন কমেন্ট করে।
এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url