ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার
ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার, ল্যাপটপ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে
একটি বড় ভূমিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে ল্যাপটপ দিয়ে আমরা অনেক কিছু করি বা করতে চাই
সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের ল্যাপটপ ভালো দেখে নিতে হবে।
সেজন্য আপনাকে অবশ্যই কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার না হলে আপনি কিনার
পরে বুঝতে পারবেন যখন আপনি আপনার ডিভাইসটি ব্যবহার করবেন আজকে আমার এই আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ ল্যাপটপ বিষয় নিয়ে আপনি কেনার আগে যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন তা তুলে
ধরব আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
শেষ কথাঃ ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার
- ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার
- ল্যাপটপের ব্যবহার নির্ধারণ করুন
- প্রসেসর (CPU) নির্বাচন করুন
- র্যাম (RAM) কত দরকার?
- স্টোরেজ: HDD নাকি SSD?
- ডিসপ্লের রেজোলিউশন ও সাইজ
- ব্যাটারি লাইফ
- গ্রাফিক্স কার্ড (GPU)
- কিবোর্ড ও টাচপ্যাড
- পোর্ট ও কানেক্টিভিটি
- বাজেট ও ব্র্যান্ড নির্বাচন
- পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয়
- কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ বেশি ভালো
- শেষ কথাঃ ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার
ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার
ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার, ল্যাপটপ এমন একটি ডিভাইস এই ডিভাইসড
দিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ করে থাকে যেমন ফ্রিল্যান্সিং পড়াশোনার এসাইনমেন্ট
অনলাইনে বিভিন্ন খবরা খবর দেখি ইত্যাদি এসব কাজের জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো একটি
ল্যাপটপ কেনা প্রয়োজন কিন্তু আপনি বুঝবেন কি করে আপনি যে ল্যাপটপে নিচ্ছেন সেটা
ভালো কিনা।
তাই আজ আমি আমার এই আর্টিকেলটি পুরোই ল্যাপটপ সম্পর্কে লেখা যারা নতুন বা
পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমারে আর্টিকেলটি খুবই
উপকারী, আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন
তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন একটা নতুন ল্যাপটপ কেনার জন্য বাঁকুড়া তোর ল্যাপটপ
কেনার জন্য আপনার কোন বিষয়গুলো জানা দরকার।
আরো পরুনঃ মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায়
আজ আমি সব এ টু জেড আপনাদের সাথে আলোচনা করব, আপনি যদি ভুল ভাবে ল্যাপটপ কেনেন
তাহলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তাই আজ আমি ল্যাপটপের দশটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছে তাহলে চলুন মনোযোগ সহকারে পড়ে
ল্যাপটপের পুরো বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক কেনার আগে কি বিষয় জানা দরকার।
ল্যাপটপের ব্যবহার নির্ধারণ করুন
প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যে ল্যাপটপে কিনবেন সেটা কি কাজের জন্য ব্যবহার
করবেন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কি কাজে ল্যাপটপে
ব্যবহার করতে চাচ্ছেন বিশেষ করে এক একটা ল্যাপটপ মানে করেন যে এক একটা কাজের
জন্যই তৈরি হয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কেনার আগে বলতে হবে কি ধরনের কাজ
করবেন।
ল্যাপটপ বিশেষ করে কেনার আগে আপনাকে কিছু বিষয় বিক্রেতার কাছে বলা প্রয়োজন সেটি
নিজেই উল্লেখ করে দেওয়া হল-
- স্টুডেন্ট ও অফিসিয়াল কাজের জন্যঃ- হালকা ওজনের, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ এবং সাধারণ স্পেসিফিকেশনের ল্যাপটপ যথেষ্ট।
- গেমিংঃ- উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাফিক্স কার্ড, শক্তিশালী প্রসেসর এবং কুলিং সিস্টেম প্রয়োজন।
- ভিডিও এডিটিং ও মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশনঃ- উচ্চ রেজোলিউশনের ডিসপ্লে এবং ভালো র্যাম ও স্টোরেজ দরকার।
প্রসেসর (CPU) নির্বাচন করুন
ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে প্রসেসর নির্বাচন করতে হবে কারণ ল্যাপটপ
পারফরম্যান্স ভালো হয় প্রসেসরের উপরে নির্ভর করে কারণ ল্যাপটপে প্রসেসর ভালো
না হলে আপনার ল্যাপটপ তেমন একটি ভালো চলবে না সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে
ল্যাপটপ কেনার আগে প্রসেসর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
না হলে আপনি ল্যাপটপ কিনে ঠকে যেতে পারেন আপনি যদি পুরাতন বা নতুন যে কোন
ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই প্রসেসর সম্পর্কে জেনে নিবেন বর্তমান বাজারে সাধারণত
দুইটি ধরনের প্রসেসর পাওয়া যায় সেই দুটি নিচেই উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- Intel: Core i3, i5, i7, i9 (প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিন)
- AMD: Ryzen 3, 5, 7, 9 (গেমিং ও মাল্টিটাস্কিং-এর জন্য উপযুক্ত)
আসলে ল্যাপটপের প্রসেসরের বিষয়টা হলো কাজের উপর ভিত্তি করে আপনার কাজের
উপরে ভিত্তি করে আপনি প্রসেসর নির্বাচন করতে পারবেন আপনি যে কাজ করবেন সেই
কাজের উপরে ল্যাপটপের প্রসেসর দেখে কিনতে হবে সাধারণত অফিসের কাদের
জন্য i3/Ryzen 3 যথেষ্ট তবে আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর কাজ কিংবা
অনলাইনে বড় ধরনের কাজ করতে চান তাহলে আপনার5/Ryzen 5 বা তার বেশি বেছে নিন।
র্যাম (RAM) কত দরকার?
ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে র্যাম এর বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে
কারণ র্যাম ল্যাপটপের একটি মূল্যবান সন্তান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এ
বিষয়টা মাথায় রেখে ল্যাপটপ কিনতে হবে আসলে আপনি কি ধরনের কাজ করবেন সে
বিষয়টা একান্ত আপনার ব্যাপার সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কেনার আগে কাজ নির্বাচন করে
ram নির্বাচন করে ল্যাপটপ কিনতে হবে।
আপনি কোন কাজের জন্য এ ধরনের র্যাম ব্যবহার করবেন তা নিচে কিছু উল্লেখ
করে দেওয়া হল।
- ৪GB: সাধারণ ব্রাউজিং ও অফিসিয়াল কাজে উপযুক্ত
- ৮GB: মাল্টিটাস্কিং ও মাঝারি মানের কাজের জন্য আদর্শ
- ১৬GB বা তার বেশি: গেমিং, ভিডিও এডিটিং ও হেভি টাস্কের জন্য প্রয়োজনীয়
আপনি যদি ভালো একটা ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে অবশ্যই আমি আপনাকে
বলব র্যামেরে বিষয়টা আপনার যদি একটু টাকা বেশি লাগে তাহলে অবশ্যই
সর্বদা র্যামে নেওয়াই ভালো।
স্টোরেজ: HDD নাকি SSD?
অনেকেই ল্যাপটপ কেনার সময় নতুন অবস্থায় বুঝতে পারে না যে HDD আর
SSD কি তাই অবশ্যই আপনি যদি নতুন অবস্থায় ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে
অবশ্যই এই দুইটি সম্বন্ধে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে কারণ ল্যাপটপ কেনার সময়
আপনাকে অনেকে অনেক রকম পরামর্শ দিয়ে থাকবে সেক্ষেত্রে আপনি আরও কথা না
শুনে আগে থেকে ভালো করে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
স্টোরেজ ল্যাপটপের গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে-
- HDD (Hard Disk Drive): সস্তা, কিন্তু ধীরগতির
- SSD (Solid State Drive): দ্রুত গতির, তবে তুলনামূলক ব্যয়বহুল
সেরা পরামর্শঃ কমপক্ষে ২৫৬GB SSD থাকলে ল্যাপটপ দ্রুত চলবে। অতিরিক্ত স্টোরেজের
জন্য এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আমার থেকে আপনার
পরামর্শ থাকবে আপনি অবশ্যই SSD ব্যবহার করবেন এতে আপনার ল্যাপটপ অতি দ্রুত চলবে
এবং কাজ করবো অনেক ফাস্ট।
ডিসপ্লের রেজোলিউশন ও সাইজ
ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার, নতুন কিংবা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার
আগে অবশ্যই আপনাকে ডিসপ্লের রেজোলিউশন সাইজ দেখে নিতে হবে অনেক সময় দেখা
যায় যে আপনি যে ল্যাপটপটা নিয়েছেন সেইটা ডিসপ্লে সাইজ অনেক ফটো এতে আপনার কাজ
করতে অসুবিধা হচ্ছে কারণ ডিসপ্লের সাইজ ছোট হলে আপনার দেখতে অসুবিধা হবে।
আরো পরুনঃ মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আয়
এতে আপনি ঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন না তাই ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনার
মাথায় রাখতে হবে ডিসপ্লের সাইজ সম্পর্কে কেমন সাইজ হলে সব থেকে বেশি ভালো হয়
তা নিজেই তুলে ধরা হলো আপনি আপনার বাজেট
অনুযায়ী ল্যাপটপের রেজোলিউশন ও সাইজ বেঁচে নিতে পারবেন।
- ১৩-ইঞ্চি: পোর্টেবল ও অফিসিয়াল কাজের জন্য ভালো
- ১৫.৬-ইঞ্চি: ব্যালান্সড, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য আদর্শ
- ১৭-ইঞ্চি: গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য ভালো
রেজোলিউশন
- HD (1366x768): সাধারণ ব্যবহারের জন্য
- Full HD (1920x1080): বেশিরভাগ কাজের জন্য আদর্শ
- 4K (3840x2160): প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ও ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য দরকারি
ব্যাটারি লাইফ
ল্যাপটপ মানুষ যখন ল্যাপটপ কেনার কথা চিন্তা ভাবনা করে তখন বুঝে নিতে হবে যে সে
বাইরে গিয়ে কাজ করবে এই জন্য সেই ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছে না হলে সে পিসি
কিনতে পারতো আসলে ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে ব্যাটারি ব্যাকআপ লেখা উচিত
কারণ আপনি যখন অনলাইনে বা অফিসের কাজ করবেন।
তখন আপনার ল্যাপটপে ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো না হলে আপনি কাজ করতে পারবেন না কারণ
কিছুক্ষণ কাজ করে যদি ব্যাটারি চার্জ শেষ হয়ে যায় তাহলে ল্যাপটপ কিনে কি লাভ
অনেকেই আছেন যে বাইরে বসে কাজ করতে ভালোবাসে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে
ব্যাটারি ব্যাকআপ কন্ডিশন ভালো দেখে ল্যাপটপ কিনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ খুবই প্রয়োজনীয় তাই আপনি নতুন কিংবা পুরাতন ল্যাপটপ
কেনার আগে অবশ্যই ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ দেখে নিবেন কেমন ব্যাটারি লাইফ
ল্যাপটপ নিবেন তা নিজেই সুন্দর করে আপনার জন্য উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- ৪-৬ ঘণ্টা: সাধারণ ব্যাটারি লাইফ
- ৮-১২ ঘণ্টা: অফিসিয়াল ও স্টুডেন্টদের জন্য উপযুক্ত
- ১২+ ঘণ্টা: সর্বোচ্চ স্থায়িত্বের জন্য উপযুক্ত
আপনি যদি ল্যাপটপ নিয়ে ঘুরতে তাহলে অবশ্যই দীর্ঘ মেয়াদী ল্যাপটপ বেছে নিবেন
কারণ দীর্ঘ মেয়াদে ল্যাপটপ আপনার অনেক সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে এতে আপনি
আপনার নির্দিষ্ট কাজ খুব সহজভাবেই গুছিয়ে নিতে পারবেন সে ক্ষেত্রে ল্যাপটপ
কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন দেয় এটা জানার খুবই
গুরুত্বপূর্ণ আশা করি আমার কথাগুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন।
গ্রাফিক্স কার্ড (GPU)
গ্রাফিক্স কার্ডের গুরুত্ব আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করে।
- Integrated GPU: অফিস ও সাধারণ কাজের জন্য যথেষ্ট
- Dedicated GPU (NVIDIA/AMD): গেমিং, ভিডিও এডিটিং এবং 3D মডেলিংয়ের জন্য দরকারি
আসলে গ্রাফিক্স কার্ড আপনার ব্যবহারের উপরে নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে এটাকে
তেমনভাবে ব্যাখ্যা করে বলা সম্ভব নয় আপনি কেমন ব্যবহার করবেন সেটা আপনি ভালো
জানেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই গ্রাফিক কার্ড সম্পর্কে একটু জেনে নিয়ে আপনি আপনার
ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন।
কিবোর্ড ও টাচপ্যাড
আমরা যখন দূরে থাকতাম ঘুরতে যাই কিংবা ট্যুরে যাই তখন আমাদের সঙ্গে করে ল্যাপটপ
নিয়ে যেতে হয় কারণ আপনি যদি ল্যাপটপে স্থায়ীভাবে কোন কাজ করে থাকেন তাহলে
অবশ্যই আপনাকে ল্যাপটপ সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে কারণ ল্যাপটপ নিয়ে গেলেই শুধু
হয় না ল্যাপটপের সঙ্গে লেখালেখি করার জন্য কিবোর্ড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু কিবোর্ড সঙ্গে করে টেনে নিয়ে যাওয়া অনেক সমস্যা জনক দেখা দেয় সে
ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপের যে কিবোর্ডটা আছে সে
সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে লাগতে হবে বর্তমান সময় দেখা যায় অনেক ল্যাপটপ আছে
কিবোর্ড কিছুদিন ব্যবহার করলে ল্যাপটপের কিবোর্ড নষ্ট হয়ে যায় বা কিছু কিছু
বাটনে কাজ করে না।
সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ল্যাপটপ কেনার আগে কি বোর্ডের বিষয়টা মাথায় রাখতে
হবে যদি আপনার ভালো থাকে তাহলে আপনি যে কোন জায়গায় যে কোন মুহূর্তে ল্যাপটপ
বের করে আপনি টাইপ করতে পারবেন শুধু ল্যাপটপ নিয়ে গেলেই হয়ে যাবে এক্ষেত্রে
অবশ্যই আপনি কি বোর্ডের বিষয়টা মাথায় রাখবেন নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে।
যারা ল্যাপটপে দীর্ঘ সময় টাইপিং করেন, তাদের জন্য ভালো কিবোর্ড অপরিহার্য।
- ব্যাকলিট কিবোর্ড: কম আলোতে টাইপিংয়ের সুবিধা দেয়
- নামপ্যাড সহ কিবোর্ড: এক্সট্রা নম্বর প্যাড দরকার হলে দেখুন
- প্রিসিশন টাচপ্যাড: স্মুথ কাজের অভিজ্ঞতা দেয়
পোর্ট ও কানেক্টিভিটি
যেকোনো ল্যাপটপ কেনার সময় এর পোর্টগুলো দেখা উচিত-
- USB Type-C: দ্রুত ডেটা ট্রান্সফারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
- HDMI: এক্সটার্নাল মনিটর বা প্রজেক্টরের জন্য দরকারি
- 3.5mm হেডফোন জ্যাক: অডিও ডিভাইস সংযোগের জন্য
- WiFi 6 ও Bluetooth 5.0: উন্নত কানেক্টিভিটির জন্য দরকারি
ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে পোর্ট ও কানেক্টিভিটি সম্পর্কে মাথায় রাখতে
হবে কারণ ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ হলো এইটা তাই অবশ্যই আপনি যখন ল্যাপটপ কিনবেন
তখন এ বিষয়টা দেখে নিবেন না হলে আপনি পরবর্তীতে সমস্যা করবেন কারণ আপনার কাজ
করতে গেলে সমস্যা দেখা দেবে তাই অবশ্যই আপনি পোর্ট ও কানেক্টিভিটি দেখে
নিবেন।
বাজেট ও ব্র্যান্ড নির্বাচন
বাজেট আসলে আপনি যখন একটি নতুন ল্যাপটপ কিনবেন তখন অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট
একটা বাজেট আছে সে বাজেটের উপর ভিত্তি করে আপনি নতুন ল্যাপটপ কিনতে যাবেন
কিন্তু ল্যাপটপ কিনলেই হবে না অবশ্যই আপনাকে ব্র্যান্ড নির্বাচন করে ল্যাপটপ
কিনতে হবে আপনি যেই বাজেটেই কিনেন না কেন অবশ্যই আপনাকে ব্রান্ড নির্বাচন করে
ল্যাপটপ নিতে হবে।
সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার মাথায় রাখবেন যে আপনি যে ল্যাপটপটা নিচ্ছেন
সেটা কি কোন ব্র্যান্ড কোম্পানি এটা আপনাকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই অবশ্যই
আমি আপনাকে বলব আপনি যখন নির্দিষ্ট একটি বাজেটে ল্যাপটপ কিনবেন তখন অবশ্যই একটা
ব্র্যান্ড নিউ ল্যাপটপ নিবেন এতে আপনার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে এবং ল্যাপটপ
ভালো চলবে।
- Apple: ম্যাকবুক (MacBook Air, MacBook Pro) – প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য
- Dell: নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স ও ব্যাটারি লাইফ
- HP: দামের মধ্যে ভালো পারফরম্যান্স
- Asus: গেমিং ও হাই-পারফরম্যান্স ল্যাপটপের জন্য জনপ্রিয়
- Lenovo: স্টুডেন্ট ও অফিসিয়াল কাজের জন্য চমৎকার
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয়
আপনি যখন পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চান তখন অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখতে
হবে না হলে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কিনে ঠকে যেতে পারেন বর্তমান সময়ে কিন্তু
আমরা বেশিরভাগ সময় পুরাতন ল্যাপটপ ব্যবহার করে কারণ কিছু অল্প বাজেটে আমরা
ভালো মানের ল্যাপটপ পেয়ে যাই সে ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় পুরাতন ল্যাপটপ
ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে না
হলে আপনি সেই পুরাতন ল্যাপটপ ঠিকমতো ভালো করে তালাতে পারবেন না আপনি যে
বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন তা নিতে সুন্দর করে দেওয়া হল।
- ল্যাপটপের অবস্থা পরীক্ষা করুনঃ স্ক্রিন, কিবোর্ড, টাচপ্যাড, এবং পোর্ট কাজ করছে কিনা দেখে নিন।
- প্রসেসর ও র্যাম চেক করুনঃ পারফরম্যান্সের জন্য প্রসেসর এবং র্যামের অবস্থা যাচাই করুন।
- ব্যাটারি লাইফ পরীক্ষা করুনঃ ব্যাটারি ব্যাকআপ কতক্ষণ থাকে তা জেনে নিন।
- স্টোরেজ (HDD/SSD) চেক করুনঃ ড্রাইভ ঠিকমতো কাজ করছে কিনা এবং পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিনা নিশ্চিত করুন।
- ওএস ও সফটওয়্যার বৈধ কিনা দেখুনঃ উইন্ডোজ বা অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের লাইসেন্স যাচাই করুন।
- তাপমাত্রা ও কুলিং সিস্টেম দেখুনঃ ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয় কিনা পরীক্ষা করুন।
- পোর্ট ও কানেক্টিভিটি চেক করুনঃ USB, HDMI, WiFi, এবং Bluetooth কাজ করছে কিনা নিশ্চিত করুন।
- ফিজিক্যাল কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করুনঃ বডিতে কোনো ফাটল বা বড় দাগ আছে কিনা দেখুন।
- মূল্য ও ওয়ারেন্টি সম্পর্কে জানুনঃ দাম তুলনা করুন এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ওয়ারেন্টি সুবিধা আছে কিনা জিজ্ঞেস করুন।
- বিশ্বস্ত বিক্রেতার কাছ থেকে কিনুনঃ পরিচিত বা নির্ভরযোগ্য দোকান বা ব্যক্তি থেকে ল্যাপটপ কিনুন।
আপনি যদি এগুলো অনুসরণ করে কিনতে পারেন তাহলে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কিনে খুব
ভালোমতো কাজ করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে
এই গুলো অনুসরণ করে কিনতে হবে।
কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ বেশি ভালো
অনেকের জানতে চাই যে কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ কিনলে ভালো হয় সেজন্য আজ আমি
আপনাদের জন্য কিছু সংক্ষেপে উল্লেখ করেছি যে আপনি কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ
কিনলেন ভালো হবে।
- Intel ১২তম ও ১৩তম জেনারেশনঃ সর্বশেষ প্রযুক্তি, দ্রুত গতি, কম পাওয়ার খরচ, এবং উন্নত পারফরম্যান্স।
- Intel ১১তম জেনারেশনঃ ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ, ইন্টেল ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স উন্নত, ও মাঝারি বাজেটে ভালো।
- AMD Ryzen ৭০০০ ও ৬০০০ সিরিজঃ গেমিং ও মাল্টিটাস্কিং-এর জন্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, কম তাপমাত্রা, এবং শক্তিশালী ব্যাটারি লাইফ।
- AMD Ryzen ৫০০০ সিরিজঃ সাধারণ ব্যবহার ও অফিসিয়াল কাজের জন্য ভালো, তুলনামূলক সাশ্রয়ী।
- Intel ৮ম ও ৯ম জেনারেশনঃ বাজেট ল্যাপটপের জন্য উপযুক্ত, তবে আপডেটেড ফিচার কম থাকতে পারে।
আমার দিক থেকে আপনাদের পরামর্শ হবে আপনি সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স ও আপডেটেড
প্রযুক্তির জন্য ১২তম বা ১৩তম জেনারেশন (Intel) অথবা Ryzen ৭০০০ সিরিজ (AMD)
ল্যাপটপ কেনাই ভালো। থেকে বেশি ভালো হবে।
শেষ কথাঃ ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার
ল্যাপটপ কেনার আগে যেসব বিষয় যানা দরকার, ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই
আপনাদের এই রুলস গুলো ভালো করে ল্যাপটপ কিনতে হবে আশা করি আপনি আমার এই
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে আপনি কেমন ল্যাপটপ কিনলে ভালো হয়
কেমন বাজেটের ভিতরে কিনলে ভালো হয় কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ কিনলে ভালো হয় সব
কিছুই বুঝতে পেরেছেন।
আশা করি এখন আপনি আপনার নির্দিষ্ট অন্যটি ক্রয় করার সময় আর কোন সমস্যার
সম্মুখীন হবেন না, আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই
আমাকে জানাবেন আর যদি আপনি কোথাও কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই
আমাকে জানাবেন আমি আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।
এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url