অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার মাধ্যম

অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার মাধ্যম, সারাবিশ্বে জনসংখ্যা এত পরিমান বেড়েছে যে। এই বিশাল জনসংখ্যার মাঝে একজন ব্যক্তির চাকরি পাওয়াটা অনেক বেশি দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার। কেননা এই পৃথিবীতে দুর্বল মানুষেরা টিকে থাকতে পারেনা। টিকে থাকতে তারাই পারে যাদের জ্ঞান অর্থ সম্পদ ও পেশীশক্তিতে বলবান।
অনলাইনে-পার্ট-টাইম-কাজ-করে-আয়-করার-মাধ্যম
আজকে আমি আমার এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সাথে অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করার এমন কিছু উপায় শেয়ার করব সেগুলা আপনার জন্য উপকার আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে ইনকাম করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি অনেক উপকার পাবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার মাধ্যম

অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার মাধ্যম

অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার মাধ্যম, বর্তমান সমায়ে এসে জ্ঞান অর্থ করি না থাকলে মানুষের ভিতরে চলাফেরা অনেক কষ্ট বর্তমান সময় দুনিয়ার বাজার পরিস্থিতিতে একক আয়ে আর সংসার চলে না। যাদের বাড়িতে কিছু ভাইয়ের জন্য প্রয়োজন অর্থ ইনকাম করা। এই অর্থ আপনি কিন্তু ঘরে বসে পার্ট টাইম কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব।
আজ আমরা অনলাইনে আয় করার যাবতীয় তথ্য জানার চেষ্টা করব। আর্টিকেলটি পড়ে যেকেউ অনলাইনে নিজের একটি জায়গা করে নিতে পারবে। আজ আমরা ফুল টাইম পার্ট টাইম ও ভাই প্রকারের কাজের কথা আলোচনা করব একসাথে দেশি এবং বিদেশি সকল প্রকার সাইড এর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়া দেব। যাতে আপনারা ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করে বেকারত্ব দূর করতে পারবেন।

ইনলাইনে কাজ করতে কি কি প্রয়োজন

শুধু মুখে বললেই অনলাইনে কাজ হয়ে যাবে না। এই অনলাইনে কাজ করার জন্যও রয়েছে পূর্ব প্রস্ততি।আমরা জানি অনলাইনে কাজ যেকোনো জায়গা থেকে বাজে কোন সময় করা যায়। কিন্তু অনলাইন কাজ করার জন্য। আপনার অবশ্যয় কিছু কিছু ডিভাইস অবশ্যই থাকা জরুরী না হলে আপনি অনলাইনে কাজ করে আয় করতে পারবেন না।
অনলাইনে কাজ করারা জন্য যে গুলা ডিভাইস থাকা জরুরী-
  • একটি স্মার্ট ফোন
  • একটি ল্যাপটপ বা একটি ডেক্সটপ
  • মোটামুটি ইংরেজি ভাষা জানা প্রয়োজন
  • কিছু সফট স্কিল
  • উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট কানেকশন
  • কমিনিউকেশন দক্ষতা প্রয়োজন
অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হল এখানে আমাদের একাডেমিক অদক্ষতা কিংবা রেজাল্ট এখনে কোন কাজে আসবে কিনা। আসলে অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে আপনার একাডেমি কোন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে না কারণ এই কাজের জন্য শুধু আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন। তাই আপনি যত বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন তত বেশি অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

তাই ভালো কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন কাদের জন্য কোর্স করতে হবে এই কোর্সের মাধ্যমে আপনি অনলাইন কাজের উপরে জ্ঞানো দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

অনলাইনে পার্ট কাজ করে আয় করার মাধ্যম

অনলাইনে ইনকাম করার আগে অবশ্যয় আমাদের কিন্তু ভালো ভাবে যানা প্রয়োজন যে কোন কাজ করে ইনকাম করা যায় বা অনলাইন বাজারে কোন কাজের বেশি চাহিদা সম্পূর্ণ কাজ।অনলাইনে কিন্তু বর্তমান সময়ে হাজার হাজার তাদের মাধ্যম আছে সবগুলা কাজ করা তো সম্ভব না তাই জানতে চাই যে সব থেকে অনলাইনে চাহিদাপূর্ণ কাজগুলো কি?
আপনি যে কাজ গুলা করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন-
  • ফটোগ্রাফি করে আয়
  • অনলাইনে টিউশনি করে আয়
  • কফি টাইপিং জব করে ইনকাম
  • ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয়
  • ক্যাপচা সলভের অনলাইন পার্টটাইম জব করে ইনকাম
  • ইউটিউবিং করে আয়
  • ব্লগিং করে আয়
  • কনটেন্ট রাইটিং করে আয়
  • অনলাইন পেইড সার্ভে করে ইনকাম
  • ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম
বর্তমান সময়ে অনেকেই চাই নিজের ব্যক্তিগত কাদের পাশাপাশি অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করার জন্য। আজ আমি আপনাদের মাঝে অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার কিছু উপায়। উপরে যেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো এগুলো অনলাইন কাজের প্ল্যাটফর্ম আপনি চাইলে যেকোনো একটি কাল বেছে নিয়ে অনলাইনে পার্ট টাইম কাম করতে পারেন।

অনলাইনে ইনকাম করার আগে অবশ্যই আপনাকে বেসিক ধারণা বা আপনি যে কাজটি করতে চাচ্ছেন সেটার উপরে দক্ষতা অর্জন করা এইজন্য আপনাকে যেকোনো একটি করছে ভর্তি হয়ে দক্ষতা অর্জন করে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যক্তিগত জবের পাশাপাশি অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে ফটোগ্রাফি করে আয়

বর্ধমান ডিজিটাল বাংলাদেশ অধিকাংশ তরুণ তরুণীদের পেশা এবং ফ্যাশন হ্যালো ফটোগ্রাফি। একাই সাথে আজ আমাদের সিংহভাগ ফেসবুক টুইটার ব্যবহারকারী প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট করে থাকে। তাছাড়া অনেকেই আছেন ফটোগ্রাফিটা তাদের কাছে একটি পেশা আর এই পেশায় আপনাকে এনে দিতে পারে অর্থ।

হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়েছেন ছবি তুলে আজকাল অনলাইনে ইনকাম করা যায় অনলাইনে অনেক কোম্পানি আছে যারা বিভিন্ন ক্যাটাগরি ছবি সন্ধান করে। তাই আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হতে পারেন তাহলে দেখবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে আপনি সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ফটোগুলো ক্লায়েন্ট এর কাছে আপডেট করতে পারেন।
এর ফলে ওই ক্লাইনের চাহিদা মোতাবে আপনার ছবি সরবরাহ করবে। এভাবেই ফটোগ্রাফের মাধ্যমে যেটা অনলাইনে পার্ট টাইম কিংবা ফুল টাইম জব করে টাকা আয় করতে পারবেন। এখানে অনেকের চিন্তার বিষয় হতে পারে যে আমরা কোথায় বিক্রি করব কিংবা আমাদের কাছ থেকে কেইবা এই ছবি কিনবে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি আপনাদের কাছে কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করছি-
  • আইস্টক ফটো (Istock Photo)
  • শাটারস্টক ফটো (Shutterstock Photo)
  • ফোটোলিয়া (Photolia)
আপনি কিন্তু চাইলে আই সব কোম্পানির সাথে কথা বলে আপনি আমার ফটো বেস্তে পারবেন এই কোম্পানি গুলা সারা দেশর ফটো কিনে থালে। তাই আপনি এদের সাথে যোগাযোগ করে ফটোগ্রাফি মাধ্যমে অনলাইন থেকে পার্ট টাইম জম করে ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে টিউশনি করে আয়

আমাদের দেশে বেশির ভাগ ছাত্র ছাত্রীরা টিউশনি করিয়া থাকে।কিন্তু অনেকেই বাড়ি গিয়ে টিউশনি করানো পছন্দ করে না তাই অনেকেই ভালো ছাত্র হওয়ার পরেও হীনমন্যতার কারণে টিউশনে করা হয়ে উঠেনা। তাদের জন্যই অনলাইনে টিউশন হতে পারে চমৎকার সমাধান এবং আয়ের উৎস এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষকতা করেনতবুও বিভিন্ন কারণে সরাসরি টিউশনে করাতে পারেন না।

তাই তাদের জন্যও এই অনলাইন টিউশনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম আরে এই অনলাইন টিউশনি করানোর জন্য বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে এই অ্যাপগুলি ভিডিও কলে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এসব অ্যাপের মধ্যে এগিয়ে আছে জুম, গুগল  মিট স্কাইপে ইত্যাদি। আপনার যদি মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে টিউশনি করাতে ভালো না লাগে তাহলে।

আপনি অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি টিউশনি করে একটা হাই এর উৎস বাড়াতে পারেন।বর্তমান সময়ে কিন্তু অনলাইন টিউশনি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।এছাড়াও অনলাইন টিউশনি করানোর জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলা ওয়েবসাইট আমি কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি-
  • টিউটরসিটী (Tutorcity)
  • চেগ (Chegg)
  • উইজআইকিউ (Wiziq)
উপরে যে গুলা ওয়েবসাইট দেয়া হল আপনি কিন্তু যে কোন একটা ওয়েবসাইট  নিয়ে অনলাইন টিউশনি করাতে পারবেন। অনলাইন টিউশনি বর্তমান মাণ ২০২৫ সালে এসে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাই আপনি টিউশনির মাধ্যমে আপনার আয়ের উৎস হতে পারে।

কফি টাইপিং জব করে ইনকাম

যারা অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে একেবারেই নতুন তাদের জন্য কফি টাইপিং কাজ খুবই ভালো হবে। কবে টাইপিং হলো অন্য কোন ডকুমেন্টস থেকে বা অন্য কোন কাগজ থেকে হুবহু টাইপিং করে অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটে রূপান্তরণ করা। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কপে টাইপিং কাজের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।

অনেকেই রয়েছে যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পুরাতন কাজগুলি বা বিভিন্ন বই পুরনো কিংবা ডকুমেন্টস ভালো করে নতুন করে শাহরুখ খান করার জন্য সেগুলো নতুন করে টাইপ করান এবং ডিজিটাল বইয়ের আলোকে প্রকাশ করেন।তাই আপনারা যারা দূর  গতিতে করতে পারেন। তাদের জন্য টাইপিং অনেক বেশি সহজ হবে।
কফি-টাইপিং-জব-করে-ইনকাম
তবে এই কাজটিতে আপনি তুলনামূলক পেমেন্ট একটু কম পেতে পারেন। আরো এই কাদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক আপনার প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হতে পারে। এজন্য আপনাকে দক্ষ অর্জনের মধ্যে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে উপস্থাপনা করতে পারলেই ভবিষ্য উজ্জ্বল হবে। এই কাদের অনেক মার্কেটপ্লেসে ওয়েবসাইট আছে সেগুলা হল-
  • Fiverr
  • Upwork
  • Freelancer
  • Indeed
এই ওয়েবসাইট গুলতে প্রচুর পরিমাণ কফি টাইপিং কাজের অফার আছে। আপনি ছাইলে যে কোন একটা ওয়েবসাইট খুলে নিয়ে কাজ করে আয় করতে পারেন।

অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয়


যদি কেউ দ্রুত তার এবং নির্ভুলভাবে যেকোনো লেখালেখি টাইপ করতে পারে তার জন্য ডাটা এন্টি আজকে হবে প্রচুর পরিমাণ ভালো ডাটা এন্ট্রি কাজের মাধ্যমে যে কেউ অনেক মোটা ধরনের অর্থ ইনকাম করতে পারবে। এই ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্যে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা আবার ফ্রিল্যান্সিং দুই ধরনের হতে পারে যেমন পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম তাছাড়া যে কেউ বিভিন্ন কোম্পানিতে দিয়ে জব করতে পারে। এতেও অনেক অর্থ উপার্জন হবে। বর্তমান আমাদের দেশে ডাটা এন্ট্রির তেমন কাজ না থাকলেও প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়াসহ আশেপাশে অনেক দেশের মার্কেটপ্লেসে গুলোতে যথেষ্ট পার্ট টাইম অনলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজ রয়েছে।
আমরা একটু খজ নিলেয় Fiverr.com, Upwork.com, Indeed.com, ইত্যাদি, এসব সাইডে যা চেষ্টা পরিমাণ ডাটা এন্ট্রি কাজের ভালো ভালো বিজ্ঞাপন পাবেন এছাড়াও যে কেউ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইডে যাও অনুসন্ধান করে ডাটা এন্টের কাজ পেয়ে যাবেন। দেশে বসে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি কাজ আপনি বাইরে যেকোন দেশে করতে পারবেন এখান থেকে আপনি মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।

ইউটিউবিং করে আয়

অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার মাধ্যম, বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইউটিউব এর সাথে পরিচয় নেই এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা আমরা শিক্ষিত বা অশিক্ষিত যুবক বৃদ্ধ ছাত্র-ছাত্রী বা বাবা মা ভাই বোন এমন কেউ নেই যে ইউটিউব বা ইন্টারনেট ব্যবহার করিনা আমাদের অধিকাংশ সময় ব্যয় করি ইউটিউব এর বিভিন্ন ভিডিও দেখে।

কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে এই ইউটিউব থেকে চাইলে আয় করা যায় ইউটিউবে আমরা যাদের ভিডিও দেখি তারাও আমাদের ভিডিও ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করে। বর্তমান যুগে ইউটিউব এবং ভালো উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে দাঁড়িয়েছে ইউটিউবিং এত দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ হচ্ছে এখানে শুধু একটি নয় বরং উপায়ে আয় করা যাই।

ইউটিউব থেকে আয় করার উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি-
  • গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম
  • ভিডিও তৈরি করে ইনকাম
  • অ্যাফিলিয়ের মার্কেটিং করে ইনকাম
  • গেম খেলার পার্ট টাইম জব করে ইনকাম

অনলাইনে ব্লগিং করে আয়

আপনারা অনেকে জানেন যে ব্লগিং কি। আর যারা জানেন না তাদের বলে ব্লগিং হলো গুগলে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে লেখালেখি কে ব্লাগিন বলে ইতিমধ্যেই আমি আপনাদের সাথে আলোচনা অন্যের ব্লগ ওয়েব সাইটে লিখে আয় করার কথা। এখন বলছি নিজে একটি ওয়েবসাইট এখানে মন মতো লেখালেখি করে পাবলিশ করে।

মানুষরা যেটা গুগলে বেশি সার্চ করে আপনাকে সেই টপিক নিয়ে লেখালেখি করতে হবে আপনি যদি ঠিকমতো লেখালেখি করতে পারেন তাহলে এখান থেকে আয় করতে পারবেন। ব্লাগিং এর মাধ্যমে আপনি কোন টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই শুধুমাত্র লেখালেখির মাধ্যমেই ইনকাম করতে পারবেন। গুগলে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বিল্ডার ব্লাডফ্রম রয়েছে।
অনলাইনে-ব্লগিং-করে-আয়
যাদের মধ্যে আপনি ব্লাগিং করে পালেখালি কি করে ইনকাম করার রাস্তা পেয়ে যাবেন এই জাতীয় প্লাটফর্মের মধ্যে এগুলো হ্যালো ব্লগার কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস। এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনি বা আমি যে কেউ হোক না কেন এখান থেকে কোন টাকা পয়সা ছাড়াই তৈরি করতে পারবেন আর ব্লক তৈরি করার পর সেখানে জনপ্রিয় লেখালেখি পাবলিশ করে।

আপনার ইনকাম শুরু করতে পারেন। শুরুতেই আপনার ইনকাম হবে না এই নিয়ে হতাশ হয়ে পড়লে হবেনা প্রথমে আপনার পরিশ্রম করে গুগল এডসেন্স নিতে হবে তারপরে আপনার টাকা আয় শুরু হবে। চলুন ব্লগিং নিয়ে আমরা কিছু ভালোভাবে বিস্তারিত জানার জন্য চেষ্টা করি।

ব্লগিং কি

আমরা কিন্তু  আগেই বলেছি  অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার মাধ্যমে হল ব্লগিং করে ইনকাম করা এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা কিন্তু খুব সহজ কারন এইখানে কিন্তু খালি বাংলা লেখালেখি করে ইনকাম করা যায়, যেমন মানুষ কিন্তু জীবন জাপনের জন্য কিন্তু গুগলে নানা বিষয় নিয়ে সার্চ করে। বিভিন্ন অজানা তথ্য যানার জন্য।

আর এই সুযোগ আমরা কিন্তু কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারি। কারন সার্চ করার সব থেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল ব্লগিং, বর্তমান সমায় কিন্তু ব্লগিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায় বলে কিন্তু ব্লগিন এর চাহিদা দিন দিন বেরেয় চলেছে, সাধারণত্ব সারা ব্লগিং করে  তাদের কে বলা হয় ব্লগার। এই ব্লগারের কাজ হচ্ছে তাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন বিভিন্ন তথ্য লেখে লেখি করে পাবলিস্ট করে মানুষের মাজে ছড়িয়ে দেয়া।

তাছাড়াও কিন্তু ব্লগিং কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং  সাংবাদিক বলা চলে কারন ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার কিন্তু ব্লগিং সিখা লাগবে না হলে কিন্তু আপনি আপনার কাস্তমারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন না কারন আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি কন কাজ পাবেন না তাই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কিন্তু আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট থাকা অতি জরুলি।

আপনি যদি একটি ব্লগার সাইড খুলতে চান তাহলে আপনার প্রথম হচ্ছে ডোমেইন একটি ব্লগারের জন্য ভালো ডোমেন নাম নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ব্লগ হাইট তৈরি করার পর পরে শুরুর একটি হলো একটি ব্রান্ড এবল সহজ ডোমেন বেছে নেওয়া। কারণ একই সাথে সবার মনে থাকবে ডোমেন পারফেট নামে নির্বাচন করা।
দ্বিতীয় হচ্ছে হোস্টেল যে কোন ব্লক সাইটের জন্য একটি ভালো মানের হোস্টিং সার্ভিস নির্বাচন করা অন্তত  জরুরী ডোমেনের নাম নির্বাচন করার মত নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় হচ্ছে আপনি ব্লগারের চমৎকার ডিজাইন যেকোনো যে কনো ডিজাইন কে আকৃষ্ট করবে আপনার পরিচিত কেউ যদি থেকে থাকে তাহলে ভালো একটি ওয়েব ডিজাইনের দিয়ে ব্লগিংটি সুন্দর করে ডিজাইন করতে হবে।

ডোমেনা হোস্টিং নেওয়া হয়ে গেলে তারপরে আপনার ওয়েবসাইটে সুন্দর মত ডিজাইন করতে হবে। এরপরে কিভাবে থিম গুলোকে কাস্টমাইজ করে পছন্দমত ডিজাইন করবেন সেগুলা আপনি ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন।

চতুর্থ যে কাজটি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্লগে কনটেন্ট রেখা এবং মার্কেটিং করা যা ব্লগিং জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে মানুষ কোন বিষয় নিয়ে গুগলে বেশি সার্চ করে থাকে আপনাকে সেই কিওয়ার্ড টার্গেট করে আপনাকে কনটেন্ট লিখতে হবে তাহলে আপনি অল্প দিনে গুগল এডসেন্স পেয়ে যেতে পারেন।

আর এই ভাবেই আপনি প্রতিনিয়ত আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার ব্লগিং টি জনপ্রিয় হয়ে গেলে বিভিন্ন কোম্পানি আপনার ব্লগিং এ অ্যাড দেয়ার জন্য আপনার খাঁচা যোগাযোগ করবে সেখান থেকেও আপনি বেশিরভাগ অংশেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে কনটেন্ট রাইটিং করে আয়

অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার মাধ্যম, কনটেন্ট রাইটিং হল লেখালেখি করা। কিংবা ফেসবুকে চমৎকার চমৎকার পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের আইকন হিসাবে গড়ে তুলেছেন তাদের জন্য কনটেন্ট রাইটিং বিষয়টি একেবারেই সহজ। কারণে বিষয়ে কাজ করতে হলে কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই তারা সামান্য পড়াশুনা জানেন তারাও চাইলে কন্টেন রাইটিং করতে পারবেন।

তবে যারা ইংরেজিতে তাদের জন্য এই সেক্টরে প্রচুর পরিমাণ সুযোগ রয়েছে। যারা ইংলিশে দুর্বল তারা দেশীয় বিভিন্ন সাইডে তাদের নির্ধারিত বিষয়ে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। আর এই কনটেন্ট রাইটিং এর টাকা সাইডগুলো সাথে সাথেই নগদ বিকাশ এ জাতীয় মাধ্যমে সরাসরি পরিশোধ করে দেয় তাই চাইলে কন্টেন রাইটিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। কন্টেন রাইটিং কাজ আপনি কোথায় পাবেন?
অনলাইনে-কনটেন্ট-রাইটিং-করে-আয়
কন্টেন্ট রাইটিং মূলত ওয়েবসাইট ভিত্তিক কাল আমরা জারা যে কোন বিষয়ে সার্চ দেওয়ার জন্য গুগলে প্রবেশ করি। এভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ভিতরে গিয়ে আপনার নির্ধারিত পোস্ট পাবলিস্ট করে। সাধারণত google ব্যবহারকারীরা যা বেশি দেখতে তাই এইসব আর্টিকেল পাবলিস্ট করে। আর এইসব আর্টিকেলই বিভিন্নজনকে লেখার জন্য নিয়োগ করে আর তাদের নির্দেশনা মেনে এসব আর্টিকেল লিখতে পারলে আপনি টাকা পাবেন যা আপনার জন্য পার্ট টাইম কিংবা ফুল টাইম একটি কাজ হতে পারে।

অনলাইন পেইড সার্ভে করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে কিন্তু প্রত্যেক জনার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে দাদি আমারা প্রতিনিয়ত যুক্ত থাকি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এইসব সামাজিক মাধ্যম থেকে আমরা কিন্তু টাকা আয় করতে পারি অথচ আমরা যাদের ওয়েবসাইটে বলে থেকে টাকা পাই। তাই যে সময়টা ব্যয় করি এই সময় যদি পেইড সার্ভেতে ব্যয় করি তাহলে আমাদের কিন্তু একটা আয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেছে।

পেইড সার্ভে  কি-
সার্ভ মানে হচ্ছে জরিপ। এর মানে তো আপনারা জানে। যার অর্থ টাকা প্রদান করা এখন পেইড সার্ভের মানে দাঁড়াচ্ছে। যে জরি ফাংশন নিয়ে টাকা পাওয়া যায়। অনলাইনে যে পেইড সার্ভে গুলো হাই তাহলে তো বিভিন্ন প্রোডাক্ট অথবা বিভিন্ন প্রকারের সার্ভিস গ্রহণের মতামতকে কেন্দ্র করে থাকে। এভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করে নিয়ে টাকা পেট করে থাকে। আর এভাবে কোন কষ্ট ছাড়াই সময় দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়ে ফেসবুক চালাই ফেসবুকে এমন একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এখানে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে থাকি। ফেসবুকে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও বিভিন্ন ধরনের জন্য যেমন বাচ্চাদের পোশাক বড়দের পোশাক নানা ধরনের ওষুধ ফেসবুকের মাধ্যমে দেখা যায়। আসলে এগুলো হলো ফেসবুক মার্কেটিং ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করে বিক্রি করা। তাইলে আপনি যে সময় ফেসবুকে পার করছেন সেই সময় আপনিও ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন বা ভিডিও তৈরি করো ইনকাম করতে পারবেন।

মার্কেটিং কি? 
মার্কেটিং হল আপনি নিজে কোন কিছু তৈরি করে ফেসবুকের মাধ্যমে নানা জায়গায় ছড়িয়ে দিয়ে সেটাকে বিক্রি করাকে ফেসবুক মার্কেটিং বলে কিংবা আপনি যদি কোন কোম্পানির কোন কিছু
ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন মার্কেটিং বলে।

ফেসবুক ভিডিও করে ইনকাম করবো কি করে?
ভিডিও বানানোর আগে কিন্তু অবশ্যয় আপনার কিন্তু ফেসবুক পেজ খুলে নিতে হবে, তার পড়ে আপনি চায়লে যে কোন ভিডিও করেন ফেসবুক দিয়ে ইনকাম করেত পারবেন ইনকাম করার আগে কিন্তু আপনার মনিটাইজেশন খুলতে হবে যদি মনিটাইজেশন খুলে যায় তাহলে কিন্তু আপনি প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার মাধ্যম

বর্তমান সময় কিন্তু অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি অনেক বড় এখানে নানা ধরনের সুবিধা আছে সব থেকে বড় সুবিধা হল অনলাইন থেকে ঘরে বসে পার্ট টাইম কাজ বা জব করে ইনকাম করা যায়। তাই বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু অনলাইনের উপরে নির্ভর করে বসে থাকেন। অনলাইনে ইনকাম করা অনেক বেশি সহজ বর্তমান সময়ে।

আজ আমি আপনাদের মাঝে অনেক কথা শেয়ার করলাম অনলাইনে পার্ট টাইম কাজ করে ভাই করার অনেক সেক্টর তুলে ধরেছি তাই আপনি তাইলে যেকোনো একটি নির্বাচন করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন তাই বেকার বসে না থেকে অনলাইনে ইনকাম করুন। যদি আমার এই আটি ছেলে কোন ভুল বা আপনি কোন কিছু না বলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url