পড়াশোনা দ্রুত করার ১০ টি কার্যকরী কৌশল

পড়াশোনার ১০ টি কার্যকরী কৌশল, পড়াশোনা ভালো করার জন্য হার্ডওয়ার্কের থেকে স্মার্ট ওয়ার্ক বেশি প্রয়োজন। কিছু কৌশল অবলম্বন করলে বেশি পরিশ্রমের থেকে অল্প পরিশ্রম করলে ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পড়াশোনার-১০-টি-কার্যকরী-কৌশল
তাই আপনি যদি পড়াশোনা ভালো করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্মার্ট ওয়ার্ক কৌশল অনুযায়ী অল্প পরিশ্রম করে পড়াশোনা করতে হবে। তাহলে আপনি পড়াশোনা করে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থেকে যাবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পড়াশোনার ১০টি কার্যকরী কৌশল

পড়াশোনার ১০টি কার্যকরী কৌশল

পড়াশোনার ১০টি কার্যকরী কৌশল, পড়াশোনা করার জন্য আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। বিশেষ করে যারা স্টুডেন্ট আছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই উপকারিতা হতে চলেছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমি পড়াশোনার দশটি কার্যকারী ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করব। যারা কম পরিশ্রমে ভালো পড়াশোনা করতে চান।

বা অল্প সময়ে ভালো ফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে সহকারে পড়ুন। আমার এই আর্টিকেলে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যা আপনার পড়াশোনা করতে অনেক কার্যকারী ও হবে। এবং অল্প পরিশ্রমে আপনি ভালো ফল পাবেন। তাই আমার এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পড়াশোনা টেকনিক

ভালো পড়ালেখা করতে হলে আপনাকে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হবে এবং অনেক কিছু ছেড়ে দিতে হবে। ভালো পড়ালেখা করতে হলে আপনাকে পড়াশোনার উপরে মনোযোগ দিতে হবে। বাইরে ঘোরাঘুরি কম করতে হবে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সারাদিনে আপনি নির্দিষ্ট একটি রুটিন তৈরি করুন, এবং সেই রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিন পড়ুন।
পড়াশোনা-টেকনিক
তবে একটা বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আপনি যখন একটি বই পড়বেন তখন অবশ্যই আপনার হাতের খাতা কলম থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যখন পড়াশোনা করতে করতে একটু ক্লান্ত হয়ে যাবেন তখন হাতে থাকা খাতা কলম নিয়ে কিছু লেখা লিখে করব। এবং পড়তে পড়তে যখন আপনার মনে হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পেয়েছেন সেটা নোট করে রাখতে হবে।
নোট করার ফলে আপনার যেকোনো পরীক্ষার সময় দ্রুত পড়তে সুবিধা হবে এবং এতে ভালো ফল পাওয়া সম্ভাবনা থেকে যাবে। তাই পড়াশোনা করতে হলে আপনাকে অনেক টেকনিক খাটাতে হবে। যে টেকনিক অবলম্বন করে আপনি ভবিষ্যতে পড়াশোনা করে ভালো পর্যায় যেতে পারেন। তাই আপনাকে পড়াশোনা করার আগে অবশ্যই এই টেকনিকগুলো ভালো করতে হবে।

দিনের শুরুটা কাজে লাগাতে হবে

পড়াশোনায় ভালো করতে হলে দিনে শুরুতে কাজে লাগাতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অনেকেই বেলা করে ঘুম থেকে ওঠে এতে দিনের অধিকাংশ সময়টাই চলে যায় অবহেলায়। কিন্তু তুমি যদি প্রতিদিন ঘুম থেকে ভোর বেলা ওঠো তাহলে অনেক সময় পেয়ে যাচ্ছ পড়াশোনা করার জন্য। এতে তুমি পড়াশোনা করার জন্য অনেক বেশি সময় পাচ্ছো।

এবং নিজের পড়াশোনা তৈরি করে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে পারবা। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দিনের সময় টা কাজে লাগাতে হবে। ঘুম থেকে ভোরবেলা উঠতে হবে এবং সেই সময়টা ধরে পড়াশোনা করতে হবে। এতে আপনি সবার থেকে আলাদা হয়ে যাবেন এবং সবার থেকে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব পাবেন।

শিখতে হবে প্রতিদিন

প্রতিদিন পৃথিবীতে নতুন কিছু না কিছু হতেই চলেছে। এভাবেই কিন্তু পৃথিবীটা এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়ার পৃথিবীর সাথে তোমাকেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নতুন নতুন যা ঘটছে সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তোমাকেও শিখে রাখতে হবে। চেষ্টা করো প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখতে। এই ছোট ছোট শেখা গুলো তোমাকে একদিন অনেক বড় ফল দিবে। এবং দক্ষতা করে তুলবে।
শিখতে-হবে-প্রতিদিন
তাই প্রতিদিন তোমাকে কিছু না কিছু শেখার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাতে হবে। তুমি যদি প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখতে পারো তাহলে একসময় দেখবে তোমার পড়াশোনার জন্য অনেক কাজে আসবে এই ছোট ছোট বিষয়গুলো শেখার মাধ্যমে। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো শেখার মাধ্যমে তুমি পড়াশোনা ভালো করবে এবং ভালো ফল পাবে।

সঠিক পরিকল্পনা দরকার

কোন কাজের সঠিক পরিকল্পনা হলো কাজটি অর্ধেক করা। তাই পড়াশোনা করার আগে কি কি পড়বে সেটাকে পরিকল্পনা কর। ভালো হয়, যদি একদিন আগে থেকে পরিকল্পনা কর। তুমি কি পড়বে সেটা আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে তোমার জন্য অনেক সহজ হবে। প্রতিদিন তুমি কি পড়বে সেটা একদিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখবে।

আরো ভালো হয়। তুমি যদি এই পরিকল্পনাটা কোন এক জায়গায় লিখে রাখো। লিখে রাখার ক্ষেত্রে তোমার ভালো হবে তুমি এই বিষয়টা লিখে রাখছো এই বিষয়টা কবে পড়েছো সেটা তোমার জানতে সুবিধা হবে। এবং মাস শেষে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে তোমার অগ্রগতির হার। তুমি লেখা দেখে তোমার অগ্রগতির নির্দিষ্ট ফলাফল হাতে নাতে পাবে।

লিখে লিখে অনুশীলন করো

তোমার যে বিষয়গুলো সহজ ও আওতায় হতে চায় না। সেগুলার জন্য প্রয়োজন তোমার ভিন্ন কার্যকারী, ভিন্ন পরিকল্পনা, তোমার কাছে যে বিষয়গুলো কঠি, সেই কঠিন বিষয়গুলো যদি প্রতিদিন পড়ার রুটিনে রাখো। তাহলে ধীরে ধীরে সেগুলো তোমার আওতায় আসবে। এবং তুমি সেই বিষয়গুলো মনে রাখতে পার।

শুধু এই বিষয়গুলো পড়লেই হবে না এ বিষয়গুলোর নির্দিষ্ট একটি নোট করে লিখে রাখতে হবে। এবং লিখে মাঝে মাঝে অনুসরণ করতে হবে এই বিষয়গুলো তোমার মনে আছে কিনা। তাই তুমি যে বিষয়গুলো জানতে কষ্ট হয় বা বুঝতে ঘুম পারো। সেই বিষয়গুলো লিখে অনুশীলন করে রাখলে তোমার পড়াশোনা করার কৌশল বৃদ্ধি পাবে।

পড়াশোনার জন্য সাহায্য নাও

পড়াশোনার-জন্য-সাহায্য-নাও
কোন বিষয় বুঝতে না পারলে বা মনে না রাখতে পারলে অন্যের সাহায্য নাও। এক্ষেত্রে তুমি সাহায্য নিতে পারো শিক্ষক, অভিভাব, বা বড় ভাইদের কাছ থেকে। সাহায্য নিতে পারো। আবার দেখবে তুমি যখন এক সঙ্গে ক্লাস করবা তোমার ক্লাসের বন্ধুরা বুঝতে পারছে বা তারা মনে রাখতে পারছে। তুমি তাদের থেকে সাহায্য নিতে পা।
কিন্তু সব সময় তোমার মাথায় রাখতে হবে তুমি যেটা বুঝবে না সেটা জানো কখনো এড়িয়ে যেও না। যেটা তুমি বুঝতে পারছ না সেটা তুমি তোমার শিক্ষক বা বন্ধুদের শরণাপন্ন হও এতে তোমার লাভ হবে। কারণ তুমি যেটা বুঝছো না সেটা যদি তুমি এড়িয়ে দাও এতে তোমার অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই তুমি যেটা বুঝবে না সেটা অবশ্যই অ্ন্যেযর কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করবা।

পড়ার সময় কোন গ্যাজেট নয়

তোমার মাথায় রাখতে হবে পড়ার সময় যেন তোমার কোন কিছুতে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন না করতে পারে। বা মনোযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়। এইজন্য পড়ার সময় তোমাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করতে হবে। যে সব সোশ্যাল মিডিয়ায় যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তার থেকে দূরে থাকতে হবে।যেমন, ফেসবুক, ইন্টারনেট, youtube, ম্যাসেঞ্জার, instagram, imo, whatsapp।

তোমার অবশ্যই পড়াশোনার করার সময়। এইসব যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে এইসব সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রন্থগুলো পড়াশোনা করার সময় অনেক ডিস্টার্ব হয়। তাই তোমাকে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করতে হবে তুমি যখন পড়তে বসবে বা পড়াশোনা করবে তখন এইসব যন্ত্র থেকে অনেক দূরে থাকবা। দরকার হলে তুমি এইসব যন্ত্রগুলো অন্য জায়গায় রেখে আসবা।

অযথা কোন আড্ডা নয়

পড়াশোনার ১০টি কার্যকরী কৌশল, ছাত্র জীবনের সবথেকে মধুর বিষয় হলো বন্ধুত্ব। বন্ধ হল জীবনের একটি অঙ্গ। কিন্তু অযথা আড্ডা ভালো নয়, এতে জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়। পরনিন্দা, মানুষের চোখে খারাপ হতে হয়। এবং মানুষ সব জায়গায় সমালোচনা করে। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন অযথা ঘোরাঘুরি না করে নিজের সময় নষ্ট না করে।

নিজের পড়াশোনার দিকে নজর দেওয়ার জন্য। এতে তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে এবং পড়াশোনার উপরে তোমার মন বসবে। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন যে অযথা আড্ডা না দিয়ে ঘোরাঘুরি না করে পড়াশোনার দিকে সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য।

নিজের লক্ষ্য স্থির রাখো

তোমার লক্ষ্য যদি স্থির থাকে তাহলে সময়ের অপচয় অনেকটা কমে যায়। তাই প্রতিদিন নিজের লক্ষ্য। স্বপ্ন যখনই সময় পাবে তখনই একবার, অবলম্বন করবে। সব সময় দেখতে হবে নিজের লক্ষ্য টাই স্থির করতে হবে। তুমি যদি তোমার লক্ষ্য স্থির করে চলো তাহলে তুমি ব্যর্থ হবা না। তাই নিজের লক্ষ্য স্থির রাখো এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাও।
নিজের-লক্ষ্য-স্থির-রাখো
তুমি যদি তোমার লক্ষ্য স্থির রেখে পড়াশোনা করতে পারো তাহলে। মনে করবা তোমার অর্ধেক সফলতা তুমি পেয়ে গিয়েছো তাই শুধু পড়াশোনা না তুমি যাই কিছু করো না কেন প্রথমে তুমি তোমার নিজের লক্ষ্যটা স্থির করো এবং সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করো। এতে তোমার এগিয়ে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবেনা বা তুমি ভালো করে বুঝতে পারবে তোমার লক্ষ্যটা কতদূর।

নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকো

সব সময় ইতিবাচক চিন্তা কর। এতে তোমার শক্তি দেবে। পরিশ্রমের সাহস যোগাবে। অনেক সময় দেখা যায় মানুষের নেতিবাচকতা কথায় অনেক হতাশা হয়ে পড়ি এমন কথা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং নিজের উপরে নিজেকে ভরসা রাখতে হবে। মানুষের কোন কথায় কান দিতে হবে না, এমন কথায় তুমি যদি কাম দেও তাহলে তোমার ভিতরে খারাপ চিন্তা চলে আসবে।
তাই সব সময় তোমার মাথায় রাখতে হবে এই ধরনের মানুষের সাথে কোন যোগাযোগ না রাখা। বা এই সব ধরনের মানুষ থেকে তুমি দূরে থাকবা এতে তোমার ইতিবাচক ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করবে।মানুষের কথায় কান না দিয়ে তুমি তোমার নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে থাকো। তাই পড়াশোনা আর ক্ষেত্রেও একই বিষয় তোমার পড়াশোনা পালিয়ে যাও কারোর কথায় কান না দিয়ে।

হতাশা নয়

আসলে মানুষের জীবন কোন রোবটের জীবন নাই তাই হতাশা আসতেই পারে। এতে ভেঙে পড়া যাবে না। তুমি তোমার লক্ষ্যে এগিয়ে চলো নিজের লক্ষ্যটা স্থির করে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করো পরিশ্রম করো। সফলতা আসবেই। তাই সব সময় তোমার মনে রাখতে হবে মানুষ হয়ে যখন থেকে জন্ম নিয়েছো তোমার হতাশা আসতেই পারে।

এই হতাশা নিয়ে ভেঙ্গে পড়া যাবে না। বরং নিজেকে শক্ত করতে হবে এবং নিজের লক্ষ্য স্থির করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে। একটা কথা সব সময় মনে রাখবা ধৈর্যের ফল সব সময় মিষ্টি হয়। এই কথাটা মাথায় রেখে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পরিশ্রম করতে থাকুন।

শেষ কথাঃ পড়াশোনার ১০ টি কার্যকরী কৌশল

পড়াশোনার ১০টি কার্যকরী কৌশল, পড়াশোনা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কার্যকারী ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তাহলে আপনি অল্প সময়ে ভালো পড়াশোনা শিখতে পারবেন। আপনি যদি আমারে আর্টিকেলটা পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন যে পড়াশোনা করার কার্যকারী ও কৌশল সম্পর্কে।

যারা পড়াশোনা করতে খুব একটা আগ্রহী নাই। বা পড়াশোনা করেন ঠিকমতো বুঝতে পারেন না বা মনে রাখতে পারেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটা খুবই উপকার হয়েছে। যাই হোক আমার এই আর্টিকেলে আপনার যদি উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাকে জানাবেন আমি আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অকান্ত চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এ এস এম ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url